• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

একটি বাড়ি একটি খামার

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৫৩.৫৭ শতাংশই কৃষিজীবী। এ পরিবারগুলো নিজেদের খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাকি ৪৬.৪৩ শতাংশ জনসংখ্যার খাদ্যও জোগান দেয়। খাদ্যপুষ্টির নীরব জোগানদাতা এ জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত এক যুগান্তকারী প্রকল্পের নাম ‘একটি বাড়ি একটি খামার’। এটি বাংলাদেশ সরকারের পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সমবায় সমিতিভিত্তিক একটি দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক পরিকল্পনা।

২০২০ সালের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কার্যাবলির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াসে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন বোর্ড ও বিআরডিবি (লিড এজেন্সি) কাজ শুরু করে।

এই প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৯৫০টি গ্রামে বাস্তবায়িত হয়েছে। গ্রামীণ পর্যায়ে সংগঠন সৃষ্টির মাধ্যমে পল্লীবাসীদের সংগঠিত করে স্থানীয় সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন করা হয়। এর আওতায় প্রতিটি গ্রামের প্রায় ৬০টি হতদরিদ্র, দরিদ্র ও পেশাজীবী পরিবার নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে গ্রাম সংগঠন সৃষ্টি করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা সঞ্চয় ও শেয়ারের মাধ্যমে নিজস্ব পুঁজি সৃষ্টি করে এবং তা লাভজনক খাতে বিনিয়োগ বা সদস্যদের ঋণ প্রদান ও এলাকার উন্নয়নে ব্যবহার করে। প্রতিটি পরিবার যাতে তাদের উৎপাদিত শস্য ও অন্যান্য পণ্য বাজারজাতে সহায়তা করার জন্য জেলা পর্যায়ে বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় আরো কিছু কর্মসংস্থানের সুযোগ। যেমন : স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনাকর্মী, কৃষিকর্মী, সেচকর্মী, পশুসম্পদ উন্নয়নকর্মী ইত্যাদি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads