• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সুলতানি আমলের অপূর্ব নিদর্শন শংকরপাশা শাহী মসজিদ

অপূর্ব নিদর্শন শংকরপাশা শাহী মসজিদ

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

সুলতানি আমলের অপূর্ব নিদর্শন শংকরপাশা শাহী মসজিদ

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুলাই ২০১৮

সুলতানি আমলের অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম উচাইল গ্রামের শংকরপাশা শাহী মসজিদ। জেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের উচাইল গ্রামে ৬ একর বিস্তৃত ভূমিতে একটি টিলার ওপর এই মসজিদ অবস্থিত। মসজিদে ছোট-বড় চারটি গম্বুজ ও ছয়টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ রয়েছে। প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা বিভিন্ন মানত নিয়ে এখানে আসেন। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে প্রাচীন এই মসজিদ।  হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর সিলেট বিজয়ের পর তার যে ১২ জন সহকর্মীকে তরফ অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য প্রেরণ করেন, তাদের অন্যতম ছিলেন শাহ মজলিশ আমীন (রহ.)। তিনিই এখানে প্রথম মসজিদ স্থাপন করেন। পরে মুসলিম বাংলার স্বনামধন্য শাসনকর্তা সুলতান আলাউদ্দিন হোসাইন শাহের (১৪৯৩-১৫১৯) আমলে এই মসজিদের সুদৃশ্য ইমারতটি নির্মাণ করা হয়। ইমারতটি দৈর্ঘ্যে ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থও একই মাপের। বারান্দা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মূল ভবনের ওপরে একটি বড় গম্বুজ এবং বারান্দার ওপর অপেক্ষাকৃত ছোট তিনটি গম্বুজ। দরজা-জানালার সংখ্যা মোট ১৪টি। জানালাগুলো অনেকটাই দরজা আকৃতির। তিন দিকের দেয়ালের পুরুত্ব ৫ ফুট। পশ্চিম দিকের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় দ্বিগুণ। সামনের প্রাচীরের কার্নিশ ও উপরের ছাদ নির্মিত হয়েছে বাঁকানোভাবে। প্রধান কক্ষের চার কোণে আর বারান্দার দুই কোণে মোট ৬টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ রয়েছে। সুলতানি আমলের স্থাপত্যরীতি পূর্ণাঙ্গরূপেই প্রকাশ পেয়েছে এই ইমরাতে। ইমারতে উন্নত মানের পোড়া ইট কেটে প্রলেপবিহীন দেয়ালে সেঁটে শৈল্পিক বৈশিষ্ট্যে সুষমামণ্ডিত কারুকার্য সহজেই দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। দেয়ালের বাইরের দিকে ইটের ওপর বিভিন্ন নকশা, অলংকার এবং শীলালিপি কালের চক্রে বিনষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদের দক্ষিণ পাশে শাহ মজলিশ আমীন (রহ.)-এর মাজার ও বড় দিঘি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads