• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির মাছ

শৈশবে দেখা যেত প্রচুর মাছ খালে-বিলে

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির মাছ

  • মনিরা তাবাস্সুম
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

একসময় গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে নানা ধরনের দেশি মাছের সমারোহ চোখে পড়ত। দেশীয় এসব মাছের মধ্যে রয়েছে— কৈ, মাগুর, শিং, পাবদা, টেংরা, পুঁটি, ডারকা, মলা, শৌল, বোয়াল, আইড়, ভ্যাদা, বাইম, খলিশা, ফলি, চিংড়ি, টাকি, চিতল, বালিয়া, কাকিলাসহ প্রায় ৫০টিরও বেশি মিঠা পানির বিভিন্ন ধরনের মাছ। কিন্তু দেশি মাছগুলো এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।

মৎস্য অধিদফতরের সূত্র মতে, আড়াইশ’র বেশি দেশি প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তপ্রায়। ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দিন দিন এসব মাছের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট প্রজাতির পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দেশীয় চাপিলা, বৈচা, চাটুয়া, নাপতানি, চাঁদা, নামা চাঁদা, গোল চাঁদা, আইড়, গুলশা, পাবদা, দেশি পুঁটি, সরপুঁটি, তিতপুঁটি, বাইলা, মেনি, শিং, কৈ, টাকি, শোল, ফলই, চেলি, মলা, ঢেলা, কানপোনা, ডানকিনা, বাচা, বাটা, রিটা, পিয়ালি, জয়া, খৈলশা, ছোট টেংরা, বড় টেংরা, চান্দা, কাজলি, চ্যাং, ছোট চিংড়ি, বাতাসি, বড় বাইন, তারা বাইন, শালবাইন, চিকরা বাইন, কাকিয়া, কুচিয়া, তারা, খোকসা, খড়কুটি, টাটকিনি, গোলসাসহ নাম না-জানা বহু প্রজাতির দেশীয় মাছ। এসব মাছের স্থান দখল করেছে চাষের পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া, ক্রস ও কার্প জাতীয় মাছ।

শৈশবে দেখা যেত প্রচুর মাছ খালে-বিলে। মাছ ধরার জালে ছোট চিংড়ি, মলা, টেংরা মাছ উঠলে তো আমরা ডুলাতে না তুলে নদীর ধারেই ফেলে আসতাম। অথচ তেমন মাছই এখন ৫০০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়। এ ছাড়া বাজারে যে মাছই কিনতে যাই সবই চাষ করা। চাষের এই মাছের মধ্যে প্রাকৃতিক মাছের স্বাদ মেলে না। তাই এখনই সেই স্বাদের বিলুপ্তপ্রায় মাছগুলো রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads