• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
মৎস্য আইন

যন্ত্রচালিত নয়, এমন নৌকাগুলোও ১৯৯৫ সাল থেকে লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করা হয়েছে

সংরক্ষিত ছবি

ফিচার

মৎস্য আইন

  • ফিচার ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মৎস্য অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। তখন মৎস্য অধিদফতর শুধু মাছ বাজারজাতকরণ ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণসাধনের বিষয়গুলো তদারক করত। এরপর থেকে অধিদফতর অন্যান্য বিষয়, যেমন- মৎস্য সংরক্ষণ, মাছ ধরার সময়কাল নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিবেচনায় আনতে শুরু করে এবং বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করে, যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য, বিশেষ বিশেষ মৎস্যপ্রজাতির পোনা ও রেণু সংরক্ষণ এবং কতিপয় মাছ শিকার কার্যক্রম সীমিত করার জন্য ১৯৫০ সালে প্রাদেশিক আইন সভায় পূর্ব বাংলা মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (East Bengal Protection and Conservation of Fish Act) পাস করা হয়। এখন পর্যন্ত বলবৎ এই আইনে মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণে আইন ও প্রবিধান প্রণয়নে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৬৩, ১৯৭০, ১৯৮২ ও ১৯৮৫-১৯৮৮ সালে এ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।

সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ : অধ্যাদেশটি সাধারণত সামুদ্রিক মৎস্য আইন ১৯৮৩ নামে পরিচিত, যা ১৯৯২ সালে সংশোধিত হয়েছে। আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে— চট্টগ্রামে কর্মরত একজন পরিচালক সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ জরিপ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য আইন প্রয়োগ ও লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন; প্রতিটি মাছ ধরার ট্রলার ও যন্ত্রচালিত নৌকার জন্য প্রতিবছর (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) মাছ ধরার লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক, যা নির্দিষ্ট মাসুল (টাকা ২০০-১৮০০) দিয়ে সংগ্রহ করা যাবে। যন্ত্রচালিত নয়, এমন নৌকাগুলোও ১৯৯৫ সাল থেকে লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

জলাধার উন্নয়ন আইন ১৯৩৯ : সাধারণভাবে পুকুর উন্নয়ন আইন ১৯৩৯ নামে পরিচিত এই আইনটি ১৯৮৬ সালে সংশোধন করা হয়। এই আইনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যেকোনো পতিত পুকুরের মালিককে যথাযথভাবে নোটিশ ও সময় দিয়ে পুকুরটিকে মাছচাষের আওতায় আনতে পারবেন।

মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮৩ : সাধারণভাবে মাছের মাননিয়ন্ত্রণ বিধি, ১৯৮৩ নামে পরিচিত এ আইনটি ১৯৮৯ সালে সংশোধিত হয়। অধ্যাদেশের প্রধান দিকগুলো হচ্ছে—নির্ধারিত মাসুল প্রদান করে ২৫টি শর্তপূরণকারী প্রসেসিং কারখানায় সদ্য ধরা মাছ ও চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ করা যেতে পারে; প্রসেসিংয়ের সময় মানবিনষ্টকারী উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ; সরকারের নিকট থেকে পণ্যের গুণগত প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষেই কেবল সেগুলো রফতানি করা যাবে।

চিংড়িচাষ কর আইন ১৯৯২ : সরকার এই আইনের ক্ষমতাবলে চিংড়িচাষের এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নির্মাণ এবং খাল কাটার সুবিধা ভোগকারীদের ওপর করারোপ করতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads