• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি

আমাদের একটু অসচেতনতায় অন্যের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি

  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

মনিরা তাবাসসুম প্রীতি

পবিত্র ঈদুল আজহা অত্যাসন্ন। এরই মধ্যে হয়তো অনেকেই কোরবানির পশু কিনেছেন। যারা কোরবানি করার বিষয়ে মনস্থির করেছেন, তারাও যথাসময়ে কোরবানির পশু কিনবেন। তবে কোরবানির পশুটি কেনার পর থেকে এর যত্ন এবং পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করার বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কারণ পশুর বর্জ্য সময়মতো অপসারণ করা না হলে এর থেকে নানা ধরনের রোগজীবাণু ছড়ায়। তাই কোরবানির পশু কেনার পর থেকে পশু কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব সব বর্জ্য অপসারণ করা অত্যন্ত জরুরি। যত্রতত্র কোরবানি দেওয়া, নাড়িভুঁড়ি এবং সব উচ্ছিষ্ট যথাস্থানে না ফেলা, কোরবানির পর সে জায়গাটি ধুয়ে পরিষ্কার না করার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়, রোগবালাই ছড়ায় এবং ঈদের পরেও দুর্গন্ধের জন্য রাস্তাঘাটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। মনে রাখা দরকার, আমাদের একটু অসচেতনতায় অন্যের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। নিজের ভালো থাকা এবং সবাইকে ভালো রাখতে পরিবেশের সুরক্ষায় পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। তাই যথাসময়ে যথাযথ নিয়ম মেনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা কোরবানি-পরবর্তী পরিবেশের দূষণ রোধ করতে পারি। এ বিষয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নীতিমালা অনুসরণীয় হতে পারে-   

·    সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রত্যেক এলাকায় নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দিতে হবে।

·    প্রত্যেকে আলাদা আলাদা জায়গায় কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে হয়ে একস্থানে পশু কোরবানি দিলে বর্জ্য নিষ্কাশন দ্রুততার সঙ্গে করা সম্ভব। এক্ষেত্রে  যাতায়াতের সুবিধা আছে এমন উন্মুক্ত স্থান নির্বাচন করাই শ্রেয়।

·     কোরবানির পর পশুর রক্ত তাৎক্ষণিকভাবে পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে রক্তসহ অন্যান্য বর্জ্য যত দ্রুত সম্ভব মাটিচাপা দিতে হবে। 

·    পশুর নাড়িভুঁড়িসহ এ ধরনের বর্জ্যগুলো পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা থেকে বিরত থাকা। এতে নালামুখ বন্ধ হয়ে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

·    মাংস কাটার এবং আশপাশের জায়গা পরিষ্কার করে কাজ করুন। নাড়িভুঁড়ি এবং ক্ষুর আলাদা করে ফেলে দিন,  কেননা এগুলো থেকে মাংসে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে।

·    পশু কোরবানি এবং মাংস কাটা শেষ হলে ব্যবহার করা জায়গাটি গুঁড়ো সাবান ছিটিয়ে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads