• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রংধনু গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি দেশের সেবায় অনবরত কাজ করে যাচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

রংধনু গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান

  • প্রকাশিত ১৯ আগস্ট ২০১৮

সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

রংধনু বিল্ডার্স (প্রা.) লিমিটেড : রংধনু বিল্ডার্স (প্রা.) লিমিটেড হচ্ছে রংধনু গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। ২০০৮ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি জমির ডেভেলপার, জমি কেনাবেচা এবং ভবন নির্মাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি দেশের সেবায় অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করা বেশকিছু নামকরা, নিরলস ও তরুণ উদ্যোক্তার একটি দল এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। বর্তমানে বাসস্থান যখন ঢাকা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই সমস্যার সমাধানকল্পে রংধনু বিল্ডার্স বেশকিছু বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেদের দক্ষ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য তারা নিরলসভাবে কাজ করছে। উৎপাদিত পণ্যের আন্তর্জাতিক মান ধরে রাখার পাশাপাশি প্রতিটি কাজই যেন নিখুঁত হয়— সেই বিষয়েও সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ আন্তরিক। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের মূল কারণ হচ্ছে গুণগত মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, নির্মাণের প্রতিটি পর্যায়ে সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ, দক্ষ প্রকৌশলী, অভিজ্ঞ স্থপতি, আধুনিক ডিজাইন, মনোরম লোকেশন, পরিবেশগত সুবিধা, নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প হস্তান্তর এবং সর্বোপরি বিক্রয়োত্তর সেবা। রয়েছে সহজশর্তে বুকিং ও কিস্তি সুবিধার পাশাপাশি ঋণ সুবিধা। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা। গত দশ বছরে গ্রাহকদের প্রতি তাদের টানা সহায়তা এবং আন্তরিকতার জন্যই তারা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পেরেছে। অদম্য প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতির কারণেই রংধনু বিল্ডার্স আজ দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গেও ব্যবসা করতে পারছে।

রংধনু অ্যাগ্রো অ্যান্ড বেভারেজ লি. : রংধনু অ্যাগ্রো অ্যান্ড বেভারেজ ২০১৩ সালে ‘প্রাইভেট কোম্পানি লি.’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মূলত মাছের চাষ, গরুর খামার, পশুর প্রজনন এবং অন্যান্য কৃষিকাজে নিয়োজিত। স্থানীয় বাজারে মাছের চাহিদা মেটাতে প্রতিষ্ঠানটি প্রচুর পরিমাণে মাছ চাষ করে থাকে। ভবিষ্যতে তারা বিদেশে বরফে জমানো মাছ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি মাংস, দুধ, খাদ্যশস্য উৎপাদন করে। বলা যায়, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমবর্ধমান আয়, নগরায়ন এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদান এই খাতে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করছে।

প্রমেক্স মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড : রংধনু গ্রুপ নিজেদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ প্রমেক্স মিল্ক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে মানুষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরো জোরালো করেছে। সঠিক পুষ্টি সরবরাহের লক্ষ্যে তারা দেশের খাদ্য এবং পানীয় সরবরাহেও কাজ করছে। প্রমেক্সের নীতি হচ্ছে, ভোক্তাদের উচ্চমানের খাবার সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে তাদের বিশ্বাস ও আস্থা আদায় করা। এ জন্য তারা খুবই সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য সরবরাহ করছে। সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যমান অনুসরণের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব প্যাকেজিং ব্যবহার করে। বাংলাদেশে দিন দিন বাড়তে থাকা খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশকে নতুন নতুন পরিবেশবান্ধব সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। নিজেদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তরিক হওয়ার কারণেই তারা পরিবেশবান্ধব উপায়ে ভোক্তাদের উচ্চমানের খাবার সরবরাহ করতে পারে।

প্রমেক্স ভোজ্য তেল : প্রমেক্স ভোজ্য তেলের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে রংধনু গ্রুপ নিজেদের সম্পর্কটা আরো মজবুত করেছে। দেশবাসীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের পাশাপাশি দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। প্রমেক্সের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকদের উচ্চমানের খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করা। ভোক্তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার মধ্য দিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থা অর্জন করা। প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠানটি ভোক্তাদের সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের খাদ্য সরবরাহ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সামাজিকভাবে দায়বদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব উপায়ে প্যাকেজিং করে থাকে। এ ছাড়া তারা পরিবেশবান্ধব উপায়ে দেশে উচ্চমানের খাদ্যদ্রব্যের বাড়তি চাহিদা মেটানোরও চেষ্টা করে।

রংধনু সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড : রংধনু সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন লি. হচ্ছে রংধনু গ্রুপের গ্যাস বিক্রির নতুন এক ব্যবসা। এই ব্যবসায় পদার্পণের বয়স খুব বেশি নয় প্রতিষ্ঠানটির। এটি যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা কম্প্যাক্ট মেশিনের মাধ্যমে গ্যাসোলিন রিটেইল ব্যবসার একটি নতুন পদক্ষেপ। বাংলাদেশ সরকার যখন সবাইকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহিত করছে, এই প্রতিষ্ঠানটি তখন জনগণকে তা সরবরাহ করছে। তাদের সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ভর্তি এই স্টেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে অবস্থিত। গ্যাস স্টেশনটিতে সিএনজি গ্যাস ছাড়াও পেট্রোল ও ডিজেল পাওয়া যায়।

মেহেদী মার্ট শপিং সেন্টার : মেহেদী মার্ট হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক মানের শপিং মল, যেটি ঢাকার বসুন্ধরায় অবস্থিত। ২০১৩ সালে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্বমানের এই আধুনিক মার্কেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। রংধনু গ্রুপের এই অভিজাত শপিং মলে প্রায় ৪৯ হাজার বর্গফুটের বিশাল জায়গা নিয়ে পণ্যগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, সোজা তাকালেই প্রতিটি লাইনে হাজারো পণ্য চোখে পড়বে। প্রথাগত বাজারের তুলনায় স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটার অনন্য স্থান হয়ে উঠেছে মেহেদী মার্ট। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ছয় তলাবিশিষ্ট এই হাইপার মার্কেটে রয়েছে ২৫ হাজারেরও বেশি বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্যের সমাহার। এক ছাদের নিচে যেমন আছে মাছ-মাংস, কাঁচাবাজার, পোশাক-পরিচ্ছদ, প্রসাধনসামগ্রী, চাল-ডাল, রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুড, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, তেমনি আছে শাড়ি-গহনাও। বাদ নেই শরীর গঠনের জিম কিংবা রূপ-সৌন্দর্য বর্ধনের বিউটি পার্লার ও সেলুন। মেহেদী মার্টে একই ভবনে সবকিছু পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী এই মার্কেট চালু হওয়ায় বসুন্ধরা আবাসিক ও এর আশপাশ এলাকার মানুষের বাজার করার ভোগান্তি অনেক কমেছে। ৪৯ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই মার্টে ক্রেতাদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। একই ছাদের নিচে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা এবং সেবা নিতে পারছেন। আর এভাবে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মেহেদী মার্ট চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য আয়োজনের মাধ্যমে ক্রেতাদের মন জয় করে চলেছে। দেশ থেকে যারা শপিং করতে বিদেশে ছুটে যেতেন, তাদের জন্য দেশেই আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ক্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে মেহেদী মার্ট।

মেহেদী ফুড কোর্ট : এটি আন্তর্জাতিক মানের একটি ফুড কোর্ট, যা রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার ৩০০ ফুট রোডে অবস্থিত। এটি এখনো একটি চলমান প্রকল্প এবং খুব শিগগির পূর্ণরূপে এর কার্যক্রম শুরু হবে। এতে থাকবে বহুতল ভবন এবং ২০ হাজার মানুষের একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে এবং মানসম্মত খাবার খাওয়ার জন্য এখানে বহু বিদেশিও আসেন। এখানে আরো রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল ও জিম।

জে. এস. জুয়েলার্স : রংধনু গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান জে. এস. জুয়েলার্স। বাংলাদেশের স্বর্ণ ব্যবসার খাতে সুনাম ও আস্থার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার লক্ষে জে. এস. জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads