• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
নকশিকাঁথায় জীবন-জীবিকা

নকশিকাঁথা সেলাইয়ে ব্যস্ত গ্রামীন নারীরা

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

নকশিকাঁথায় জীবন-জীবিকা

  • মাগুরা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০১৮

মাগুরা সদরের রায়গ্রামে নারীদের জীবন-জীবিকা এখন নকশিকাঁথায়। গ্রামীণ নারীদের নিপুণ হাতে সেলাই নকশিকাঁথা এখন সারা দেশে সমাদৃত। সদরের রায়গ্রামে শতাধিক নারী বাড়িতে বসে অবসর সময়ে এই নকশিকাঁথা সেলাই করেন। দীর্ঘদিন ধরে রায়গ্রামের প্রায় শতাধিক দুস্থ নারী এ পেশায় যুক্ত হয়ে জীবন-জীবিকার ওপর নির্ভর করছে। এ পেশা থেকে অর্জিত অর্থ নিয়ে তাদের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালাচ্ছে। কাঁথার কারিগররা চার-পাঁচজনের একটি দলে বিভক্ত হয়ে বাড়ির কুঠিরে এক সপ্তাহে একটি নকশিকাঁথা তৈরি করে। নকশিকাঁথা সেলাইয়ের জন্য বিভিন্ন রঙের রঙিন সুতা ব্যবহার করা হয়।

প্রতিটি কাঁথায় সুচ-সুতার সুন্দর বুননের মধ্যে ফুটে ওঠে ফুল, লতাপাতা, গাছ, চাঁদ-তারা, পশু-পাখির সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের আল্পনার বাহারি কাজ। এই কাঁথা বিক্রির জন্য কাঁথা কারিগরদের বাইরে যেতে হয় না। কাঁথার কারিগর নূরজাহান জানান, তিনি দুই বছর ধরে এই নকশিকাঁথা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। নকশিকাঁথা থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঘর-সংসার চালাচ্ছেন। তা ছাড়া এ অর্থ দিয়ে তিনি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচও বহন করছেন।

কাঁথা তৈরির সঙ্গে জড়িত জ্যোৎস্না বেগমসহ শাহিদা জানান, ঘর-সংসারের কাজ সামলিয়ে অবসর সময়ে আমরা নকশিকাঁথা সেলাই করি। কাঁথা তৈরির বিভিন্ন উপকরণ ও অন্যান্য জিনিস ব্র্যাকের আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন সরবরাহ করে। কাঁথা প্রস্তুত হওয়ার পর তা বিক্রির জন্য আমাদের বাইরে যেতে হয় না। বিভিন্ন ফাউন্ডেশনই নগদ অর্থ দিয়ে আমাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যায়।

কাঁথাপ্রতি আমরা ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা করে পেয়ে থাকি। টাকা পাওয়ার পর আমরা ভাগ করে নিই। উপার্জন ভালো থাকায় বর্তমানে আমাদের পাশাপাশি এ গ্রামের অনেক নারী এই পেশা বেছে নিয়েছে।

 ব্র্যাকের কর্মকর্তা নূর কামাল জানান, এই পেশা গ্রামে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করতে ব্র্যাক নানামুখী কাজ করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads