• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কালের সাক্ষী সীতারামের রাজবাড়ি

রাজা সীতারাম রায়ের রাজবাড়িটি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফিচার

কালের সাক্ষী সীতারামের রাজবাড়ি

  • খান শরাফত হোসেন, মাগুরা
  • প্রকাশিত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার রাজা সীতারাম রায়ের রাজবাড়িটি আজো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এটি দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করেন। মধুমতী পাড়ে সপ্তদশ শতাব্দীতে স্বাধীনচেতা ও প্রজাবৎসল রাজা সীতারাম রায় তার রাজধানী স্থাপন করেন।

জানা যায়, রাজা সীতারামের বাবা উদয় নারায়ণ রায় ছিলেন তৎকালীন ভূষণা রাজ্যের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী। সে সুবাদে ছোটবেলা থেকেই রাজ দরবারে আসা যাওয়া ছিল তার। তিনি নিজ যোগ্যতায় যুদ্ধবিদ্যা ও অশ্বচালনা রপ্ত করে ছিলেন। বাবা উদয় নারায়ণ মহম্মদপুরের শ্যামনগরে জোত বন্দোবস্ত নিয়ে মধুমতী পাড়ের হরিহর নগরে বসতি স্থাপন করেন। ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে সীতারাম সাতৈর পরগণার বিদ্রোহী পাঠান করিম খাঁকে শায়েস্তা করার পুরস্কার স্বরূপ ভূষণা রাজ্যের নলদী পরগনার জায়গীরদার নিযুক্ত হন। সুবেদার শায়েস্তা খাঁ তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। পরে দিল্লির বশ্যতা অস্বীকার করলে বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ রাজা সীতারামকে শায়েস্তা করতে সেনাপতি আবু তোরাবের নেতৃত্বে সৈন্য প্রেরণ করেন। এ যুদ্ধে তোরাব নিহত ও নবাব বাহিনী পরাজিত হয়। এর পর ক্ষিপ্ত নবাব সেনাপতি দয়ারাম ও বক্স আলী খাঁর নেতৃত্বে পুনরায় বিশাল সৈন্য দল পাঠান। বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করার একপর্যায়ে রাজা সীতারাম পরাজিত ও নিহত হন। রাজা সীতারাম রায়ের রাজবাড়িটি আজো মানুষকে আকর্ষণ করে। তাই রাজবাড়িটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।  রাজপ্রাসাদ, দোলমঞ্চ, পুকুরসহ অসংখ্য জলাশয় দেখে মুগ্ধ হন তারা।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads