• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
ফুলের গহনায় নতুনত্বের ছোঁয়া...

আর্টিফিশিয়াল ও তাজা ফুলের এমন কম্বিনেশন এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

ফুলের গহনায় নতুনত্বের ছোঁয়া...

  • মনিরা তাবাস্সুম
  • প্রকাশিত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফ্যাশন সবসময়ই পরিবর্তনশীল। প্রতিনিয়ত প্রচলিত ফ্যাশনের ধারা ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন ধারা। পোশাক থেকে শুরু করে গহনা কিংবা সাজ, সব জায়গায়-ই চলছে এক্সপেরিমেন্ট আর ফিউশন। ফ্যাশনসচেতন নারীরা তা গ্রহণও করছেন সানন্দে। ফুলের গহনার কথাই ধরা যাক। গতানুগতিক গহনার পরিবর্তে চলতি ফ্যাশনে ফুলের গহনায় লেগেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। চিরচেনা ফুলগুলোকে আনুষঙ্গিক বিভিন্ন উপকরণের সাহায্যে গহনায় আনা হচ্ছে ভিন্ন মাত্রা। এক একটি গয়না হয়ে উঠছে অসাধারণ। আজকাল এসব গহনা তৈরিতে তাজা ফুলের পাশাপাশি গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে আর্টিফিসিয়াল ফুলেরও। গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কৃত্রিম ফুলের এ গহনাগুলোর এখন বেশ কদর। একসময় যেখানে তাজা ফুলের গহনা ছাড়া গায়ে হলুদে কনের সাজ ভাবাই যেত না, সেই স্থান এখন দখল করেছে আর্টিফিসিয়াল ফুল। কাপড়, কাগজ এবং সোলার তৈরি এসব ফুলে বিভিন্ন ধরনের পুঁতি ও পাথর ব্যবহার করে তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন গহনা। এছাড়া গোল্ড, সিলভার বা মেটালের গহনায়ও কৃত্রিম এসব ফুলের ব্যবহারে তৈরি হয় আভিজাত্য আর স্নিগ্ধতার মেলবন্ধন।

বর্তমানে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ফুলের গহনায় এসেছে নানা বৈচিত্র্য। এসব গহনায় বিদেশি বাহারি সব ফুল যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি রয়েছে দেশি ফুলের সমাহারও। নানা ঢঙের ফুলের এসব গহনা মেয়েদের সাজে যোগ করেছে নতুনত্ব। পহেলা বৈশাখ, ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসে বিভিন্ন ফুলের তৈরি রিং বা ব্যান্ডেনা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া গায়ে হলুদে ফুলের গহনার তো কোনো বিকল্পই হয় না। ফুলের গহনা আছে তবে পরিবর্তন এসেছে এর ডিজাইনে। কখনো শুধু কাঁচা ফুল আর শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে বা কন্ট্রাস্ট পুঁতিতে তৈরি হয় এসব গহনা। কখনো পুরো গহনাতেই থাকে কৃত্রিম ফুলের আধিপত্য। এসব ফুলের সঙ্গে পুঁতি-জরির কাজ, স্টোন দিয়ে তৈরি হয় ফুলের গহনাগুলো। কেউ আবার গোল্ড প্লেটেট গহনার সঙ্গেই জুড়ে দেন ফুল। ব্যস, নিমেষেই সাজে আসবে ডিফারেন্ট লুক। শুধু কনেই নয়, কনের বোন-বান্ধবীরাও এসব ফুলেল গহনায় সাজায় নিজেদের। প্রচলিত ফুলের গহনার সেট, লহরি মালা, মাথার টায়রা আর টিকলি তো আছেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন নকশার সিঁথিপাটি, বাজুবন্ধ, কোমরবন্ধ, হাতের রত্নচূড়, আংটি ইত্যাদি থাকতে পারে গহনার তালিকায়। সালোয়ার-কামিজ বা শাড়ি যে কোনো পোশাকেই ফ্যাশন করে পরা যায় এ গহনাগুলো। অনেকেই মাঝারি আকারের ফুল দিয়ে বানিয়ে নেন শাড়ির ব্রোচও। শাড়ির রঙের বিপরীত রঙের ফুলে তৈরি এসব ব্রোচ বেশ আকর্ষণীয় লাগে দেখতে।

আজকাল পার্টিতেও আর্টিফিসিয়াল ফুলের সাজে সাজেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রে গ্লনি বা মেট দু’ধরনের ফুলই ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু তাজা ফুল দ্রুত নেতিয়ে পড়ে। সেগুলো দিনের বেলায় না পরে রাতের সাজে পরতে পারেন। বেলি, রজনীগন্ধা, পাশাপাশি নাইটকুইন, সন্ধ্যামালতি, হাসনাহেনা ফুলগুলো নিশ্চিন্তে পরা যায় রাতে। আর তাজা ফুলগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা এড়াতে কৃত্রিম ফুলের গহনা পরতে পারেন নিশ্চিন্তে।

কোথায় পাবেন

ফুলের গহনা তৈরি করার কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসে শাহবাগের ফুলের দোকানের কথা। কী ফুল নেই এখানে! দেশি গাঁদা, পদ্ম, রজনীগন্ধা, কসমস ও গোলাপের পাশাপাশি মিলবে অর্কিড, ক্যালান্ডুলা, গ্লাডিওলাস, জারবেরাসহ বিদেশি নানা জাতের ফুল। প্রতিটি দোকানেই তাদের নিজেস্ব ক্যাটালগ রয়েছে। ক্যাটালগ দেখে পছন্দের ফুল দিয়ে তৈরি করিয়ে নিতে পারেন গহনা। ফুল ও গহনার নকশার ওপর দাম নির্ভর করে। শুধু ফুলের গহনা হলে ফুলের ধরন ভেদে গহনার দাম পড়বে ৪০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে। আর কৃত্রিম ফুলে, বিডস আর পুঁতির তৈরি গহনার জন্য এর দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। এ ছাড়া কাঁটাবন এবং ধানমন্ডি-২ সহ নগরের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা ফুলের দোকানগুলোতে অর্ডার দিতে পারবেন। যেহেতু এটা বিয়ের মৌসুম, তাই অন্তত চারদিন আগে ফুলের গহনার অর্ডার দিতে হবে। শাড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচ করে অর্ডার দিয়ে বানিয়েও নিতে পারেন।

মডেল : সামিয়া ফারাহ্ মাহজাবিন

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads