লাইফস্টাইল ডেস্ক

রান্নাঘরে কাজের সময় রাঁধুনিকে নানা ধরনের বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হয়। গৃহস্থালির নানা কাজে ছোটখাটো ঝামেলা ম্লান করে দেয় অনেক কষ্টকে। জেনে নিন খুব সহজ কিছু ট্রিকস, যা এসব ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে সহজেই।

১. কোনো দুঃখ-কষ্ট ছাড়াই চোখের পানি নাকের পানি এক হয়েছে। তাও আবার পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে! আপনার কান্নাকাটির দিন শেষ হলো বলে। কাটার আগে পেঁয়াজ দুই ফালি করে খোসা ছাড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করবে না।

২. চায়ের চিনি কিংবা রান্না করা তরকারির লবণ চাখতে গিয়ে তাড়াহুড়োয় জিহ্বা পুড়িয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে আধা চা চামচ পরিমাণ চিনি জিহ্বার পোড়া জায়গায় রেখে একটু একটু করে খেয়ে নিতে পারেন। দেখবেন জিহ্বার জ্বালাপোড়া কমে যাবে।

৩. কাঁচামরিচ কুচি করে হাত ধোয়ার পরও হাতে ঝাল থেকে যায়। মনের ভুলে সেই হাত চোখে লাগলেই হলো। চোখের এই জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা পেতে চোখ ধুয়ে নিয়ে এক চিমটি লবণ খেয়ে নিন। সঙ্গে সঙ্গে চোখের জ্বালা চলে যাবে।

৪. আপেল কাটার পরপরই কালো হয়ে যায়। আপেল টাটকা রাখতে কাটার পরপরই আপেলের ওপর লেবুর রস ছড়িয়ে দিলে আর কালচে হবে না।

৫. পাত্রে কোনো কিছু পুড়ে গেলে তার মধ্যে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম পানি ঢেলে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার করে ফেলুন, পোড়া উঠে যাবে।

৬. রসুনের খোসা ছাড়াতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়। সহজে রসুনের খোসা ছাড়াতে আগে গরম পানিতে মিনিট খানেক ভিজিয়ে রাখুন। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে বহুলাংশে।

৭. ডিম যদি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চান, তাহলে পানিতে ধোবেন না। কারণ ধুয়ে ফেললে ডিমের ওপরের পাতলা বিশেষ প্রতিরক্ষা-প্রলেপ উঠে গিয়ে ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।

৮. কখনো ডুবো তেলে কিছু ভাজতে গিয়ে অসাবধানতাবশত হাত পুড়ে গেল। দ্রুত পাকা কলা পেস্ট করে পোড়া স্থানে লাগান। জ্বালাপোড়া কমে যাবে।

৯. মাছ নরম হয়ে গেলে ভাজার সময় একটু ময়দা কিংবা চালের গুঁড়া মাখিয়ে ভাজুন। মাছ সহজে ভেঙে যাবে না এবং মচমচে থাকবে।

১০. ঘরে কলা খুব বেশি সময় রাখা যায় না। অল্পতেই খোসা কালো হয়ে যায়। ফ্রিজে রাখলেও একই অবস্থা। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে কলা ভেজা কাপড়ে মুড়ে ফ্রিজে রাখুন, খোসা কালো হবে না।

১১. তরকারি কাটার সময় আঙুলে দাগ পড়লে ভিনিগার অথবা লেবুর রসে লবণ মিশিয়ে আঙুলে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিলে দাগ উঠে যায়।