• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আসন-১৭৮ (ঢাকা-৫)

জাতীয় সংসদ

সংগৃহীত ছবি

ফিচার

খবরের কাগজে সংসদ

আসন-১৭৮ (ঢাকা-৫)

  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

আসন-১৭৮ (ঢাকা-৫)

আওয়ামী লীগের দখলে রাখতে : বিএনপি চায় পুনরুদ্ধার

বর্তমান ঢাকা-৫ আসনটি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১৭৮ নং আসন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। তিনি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ায় আগামী নির্বাচনে এ আসনে দলের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ তালিকায় আছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদ ও হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা নবিউল্লাহ নবী এবং কেন্দ্রীয় গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও পেশাজীবী নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ ও ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সভাপতি শহীদুল ইসলাম নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। গত নির্বাচনেও আসুদ জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সাজানো হয়েছে এবারের খবরের কাগজে সংসদ। সহযোগিতায় সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন, পরিকল্পনা গ্রন্থনা ও সম্পাদনায় মো. আসিফ উল আলম সোহান

 

এক নজরে ঢাকা-৫ আসন

regular_4265_news_1540058521

জাতীয় সংসদের আসন নং : ১৭৮।

অন্তর্ভুক্ত থানা ও সীমানা : এ আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডেমরা, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

ভোটার সংখ্যা : ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭২৫।

সাবেক এমপিদের নাম :

১৯৯১ : সালাহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

১৯৯৬ : হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২০০১ : সালাহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

২০০৮ : হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

২০১৪ : হাবিবুর রহমান মোল্লা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

FB_IMG_1532680630599

শেখ হাসিনার সরকার যথাযথ সময়েই আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে : হাবিবুর রহমান মোল্লা

সংসদ সদস্য, ঢাকা-৫, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

হাবিবুর রহমান মোল্লা আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারবার প্রার্থী হয়ে তিনবারই জিতেছেন। এর মধ্যে একবার জেলে থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত ডেমরা-শ্যামপুর (তৎকালীন ঢাকা-৪) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এমপি হন হাবিবুর রহমান মোল্লা। ২০০১ সালের নির্বাচনে অবশ্য সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছেই হেরে যান তিনি। তারপর বর্তমান ঢাকা-৫ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের দুই নির্বাচনে বিজয়ী হন। তবে বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। তবে এবারো প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবেন এবং ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেবেন বলে জানিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের খবরের বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ সোহান

বাংলাদেশের খবর : আপনি বর্তমানে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সময়মতো করা সম্ভব হবে বলে কি মনে করেন?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : আমরা যেটা মনে করছি, তাতে আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনোভাবেই কারো মনে সন্দেহ থাকার কারণ নেই। কারণ শেখ হাসিনার সরকার যথাযথ সময়েই আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে, এ বিষয়ে আপনারা শতভাগ আশাবাদী থাকতে পারেন। একটু-আধটু সন্দেহ তৈরি করার চেষ্টাও যে করা হচ্ছে, তফসিল ঘোষণা হলে আশা করি সেগুলোও উড়ে যাবে।

বাংলাদেশের খবর : বিগত সময়ে মোটামুটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কি সেরকম কিছু আশা করছেন?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : না, সেরকম কোনো কিছু আশা করার মতো কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। এবারের নির্বাচনে তেমন কিছু ভাবার অবকাশই নেই। একটি অর্থবহ ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই আমাদের লক্ষ্য। এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশের খবর : বিএনপি তো এবারো বলছে— দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। এ বিষয়ে আপনার কী ধারণা?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : না, বিএনপি এবার নির্বাচনে আসবে না— এটা আমি মনে করি না। কারণ গত নির্বাচনে তারা আসেনি, এরকম বার বার নির্বাচনে না এসে একটা রাজনৈতিক দল টিকিয়ে রাখা মুশকিল। কাজেই তাদের চেয়ারপারসনের কী হবে বা না হবে, সেটা নিয়ে দল আর বসে থাকবে না। বরং তারা এবার নির্বাচনে আসবেই। তাদের দলের সেকেন্ড ম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনিও সাজাপ্রাপ্ত। কাজেই এ সময়ে যদি তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন, তাহলে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না। সে কারণেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মতো ভুল তারা আর করবে বলে আমার মনে হয় না।

বাংলাদেশের খবর : ঢাকা-৫ আসনে কী কী সমস্যা আছে বলে মনে করেন?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : দেখুন, বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকার মতো আমার নির্বাচনী এলাকায়ও সমস্যা কিছুটা থাকবেই। তাছাড়া কিছু সমস্যা তো জাতীয় সমস্যা। তারপরেও আমাদের আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যে ধরনের উন্নয়ন সমগ্র বাংলাদেশে হয়েছে, সেই মতো আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৫ আসনেও হয়েছে। দেশের জনগণ ভালো অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ এক অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আর আলাদা করে আমার এলাকার কথা বলতে গেলে এখানে রাস্তাঘাটের সমস্যা ছিল, স্কুল-কলেজের অবকাঠামোর সমস্যা ছিল— সেগুলো যতটা সম্ভব আমি করে দিয়েছি। কাজেই আমি তো মনে করি, সার্বিক বিবেচনায় দেশের অবস্থা এখন অনেক ভালো। অবশ্য তারপরও কিছু সমস্যা তো থাকবেই।

বাংলাদেশের খবর : আপনি এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে কী কী কাজ করেছেন যে জনগণ আরেকবার আপনাকে চাইবে?

হাবিবুর রহমান মোল্লা :  দেখুন, জনগণের কাজ করাই একজন জনপ্রতিনিধির কাজ। পাঁচ বছর পর যখন একজন জনপ্রতিনিধি এলাকার জনগণের সামনে দাঁড়ায়, তখন তাকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। কাজেই শুধু মুখে মুখে উন্নয়নের কথা বলে কাজ না করলে জনগণ কেন তাকে গ্রহণ করবে? আমি একথা বিশ্বাস করি বলেই একাধিকবার এই আসনের জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে এবং আমি তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি। এলাকার রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে মসজিদ-মাদরাসাসহ সর্বক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন করেছি। বিশেষ করে আমার এলাকার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন বিল্ডিং করা হয়েছে; কিছু বিল্ডিং ভারটিক্যালি এক্সটেনশন করা হয়েছে। কিছু একেবারে নতুনভাবে গড়া হয়েছে। এগুলো আসলে চলমান প্রক্রিয়া। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমগ্র বাংলাদেশের তুলনায় আমার এলাকায় যথেষ্ট ভালো বলতে হবে।

বাংলাদেশের খবর : আপনার এলাকার বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : রাজনীতিতে এরকম অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থাকবেই। তবে এর সত্যতা কতটুকু, সেটি দেখতে হবে। আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন, সেটি বের করা আপনাদের জন্য কোনো কষ্টের বিষয়ই হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখুন, দেখবেন এসবের একেবারেই ভিত্তি নেই। আর মাদকের বিষয়ে বলব, মাদকের সমস্যাটি পুরো বাংলাদেশেরই সমস্যা। যে কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমগ্র দেশে চলছে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অভিযান। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো জায়গায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ধরা পড়ছে মাদকের গডফাদাররা। সাম্প্রতিক বিভিন্ন অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তেমনি আমার এলাকায়ও যে মাদক ব্যবসা হচ্ছে না সেটা বললে ভুল হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু হয়তো হচ্ছে, তেমনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজ করে চলেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতারও হচ্ছে। এটি একসময় হয়তো খুব বেশি হতো; কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু হয়তো হচ্ছে। তবে আমাদের সবসময়েই চেষ্টা আছে মাদকের খুচরা বিক্রেতাসহ এর গডফাদারদের মূলোৎপাটন করতে। সেটি করতে আমাদের সরকার সক্ষম হবে ইনশাআল্ল­াহ।

বাংলাদেশের খবর : গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। আপনার ধারণা এবার তারা নির্বাচন করবে, সেক্ষেত্রে আপনার এলাকায় বিএনপির তুলনায় নিজেকে কতটা শক্তিশালী ভাবছেন?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : বিএনপি  থেকে খুব সম্ভবত সালাহউদ্দিন সাহেব নির্বাচন করবেন। আমি যখন নির্বাচন করি, প্রতিপক্ষ যিনিই থাকুন, তাকে শক্তিশালী বলে ধরে নিতে হবে। বিপক্ষকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে আমার সঙ্গে তাদের কন্টেস্ট হলেও নির্বাচনে তারা জয়লাভ করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।

বাংলাদেশের খবর : ড. কামালসহ বিএনপির যে বৃহৎ ঐক্যজোট হয়েছে—এ বিষয়ে আপনার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন কী?

হাবিবুর রহমান মোল্লা : এই জোট সম্পর্কে আমি কেন, কোনো লোকেরই মূল্যায়ন থাকা উচিত নয়। এদের কোনো মূল্যায়নই করা উচিত নয়। তাদের কোনো স্থিরতা আছে? ড. কামাল সাহেব আজ এখানে, কাল ওখানে। আজ একজনের সঙ্গে তো কাল আরেকজনের সঙ্গে। তারা জোট করে, কিন্তু মাঠে তাদের কোনো লোক আছে? তাদের কোনো কর্মী আছে? জোট করলেই কী হয়ে গেল? কাজেই এমন জোটের কোনো গুরুত্ব নেই।

PIC SALAUDDIN

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত : সালাহউদ্দিন আহমেদ

সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল

সালাহউদ্দিন আহমেদ অবিভক্ত ঢাকা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। রাজনীতি শুরু জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। জিয়াউর রহমান যখন জাগো দল গঠন করেন, তখন থেকেই জাগো দলের সদস্য। এরপর যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশের খবরের হয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের খবরের বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ সোহান

বাংলাদেশের খবর : আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো প্রস্তুতি আছে আপনার?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : দেখুন, বর্তমানে বাংলাদেশে যে  রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে একটা অরাজকতা চলছে। শতাধিক মামলা নিয়ে বাড়ির বাইরে দিনরাত পার করতে হচ্ছে। ঠিকমতো এলাকায় নিজ বাড়িতে বসতে পারি না। জনগণের সঙ্গে কথা বলতে পারি না। তার পরেও এলাকার জনগণের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক। এলাকার জনগণ আমাকে নিজের সন্তান মনে করে। তাই সেদিক থেকে সব প্রস্তুতি আমার আছে। তবে প্রথম এবং প্রধান বিষয় হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। উনার সুচিকিৎসা ও সুস্থতা। উনি মুক্ত হয়ে আমাদের মাঝে আসবেন এবং আমাদের দিকনির্দেশনা দেবেন নির্বাচন বিষয়ে আমাদের করণীয়।

বাংলাদেশের খবর : তাহলে কি বেগম জিয়াকে ছাড়া আপনারা নির্বাচন করবেন না?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : আমার ব্যক্তিগত মতামত সেরকমই। বেগম জিয়া আমাকে যতটুকু আদর করেন, আমি যে কোনো সময় এলাকার জনগণের যে কোনো দাবি নিয়ে তার কাছে গেছি, তিনি কোনোদিনই আমাকে নিরাশ করেননি। আমার সব চাওয়া-পাওয়া তিনি দেখেছেন। কাজেই আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়া মানেই বিএনপি। আমি খুব ভদ্র একজন কর্মী এই দলের। সিনিয়র নেতারা আছেন এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন আছেন, সর্বোপরি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই চূড়ান্ত। 

বাংলাদেশের খবর : কেন মনে করছেন জনগণ আপনাকে আবার নির্বাচিত করবে?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : এই নির্বাচনী এলাকার সবকিছু আমার হাতে গড়া। কয়েক বছর হলো হাইস্কুল শুরু করেছি। কলেজ করেছি ৬টি। প্রাইমারি স্কুল করেছি প্রায় ১৪০টি। বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল করেছি প্রায় ৪০টি। মাদরাসা করেছি ৪২টি। এলাকার রাস্তাঘাট, বিদ্যুতের সমস্যা সমাধান, কালভার্ট, হাসপাতালসহ আমার এলাকায় উন্নয়ন যা করা হয়েছে তা একমাত্র আমিই করেছি। বেগম খালেদা জিয়া আমাকে যথেষ্ট আদর-স্নেহ করতেন বলে আমার এলাকার উন্নয়নে তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। এজন্য তার কাছে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন উনাকে সুস্থ করে দেশের মানুষের মাঝে ফিরিয়ে দেন। উনি যেন সুস্থ হয়ে ফিরে এসে দেশের জন্য কাজ করতে পারেন। আমি এই এলাকার সন্তান, কখনো এলাকাবাসীকে ছেড়ে যাব না। কাজেই আমি মনে করি, এলাকার জনগণ সবসময় আমার পরিবারের সঙ্গে আছে।

বাংলাদেশের খবর : এলাকার জনগণের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : আমি একটা কথা বলতে চাই, এলাকার মানুষের আমার প্রতি অনেক দোয়া আছে। যে কারণে মহান আল্লাহপাক আমাকে ভালো রেখেছেন। কাজেই আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ইনশাল্লাহ মানুষের দোয়া, ভালোবাসা ও ভোটে আমরা যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি—তাহলে আবারো আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। এ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করব। স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, রাস্তাঘাটসহ আরো যেসব ক্ষেত্রে কিছু না কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধান করব। এক কথায় এ এলাকার মানুষের কল্যাণে যা যা করা দরকার, সবই করব ইনশাল্লাহ। একথা বলতে পারি, জনগণ আজ বর্তমান সরকারের পতন চায়। এই ফ্যাসিস্ট ও জালিম সরকার কখনো মানুষকে ভালো রাখতে পারেনি। তারা কোনো ভালো মানুষকেও রেহাই দেয়নি। এই সরকারের যারা চাটুকার আছে, নেতা আছে—লুটপাট করে খাচ্ছে, তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি থেকে মানুষ উত্তরণ চায়, মুক্তি চায়। মানুষ আমাদের ভালোবাসে এবং আমাদের ক্ষমতায় দেখতে চায়। সবচেয়ে বড়কথা, আমি এদেশের মানুষের একজন সেবক, বিএনপির সামান্য একজন কর্মী। বিএনপির বড় কোনো নেতা না। মাঠে-ময়দানে কাজ করি। আমার ছেলেও মাঠে-ময়দানে কাজ করে। আমরা দুই বাপ-বেটা চেষ্টা করব এবার দুই জায়গা থেকে নির্বাচন করার। কারণ এলাকার মানুষ আমাদের ভালোবাসে। তাদের পাশে চায়। আমি নির্বাচন করব ঢাকা-৫ থেকে, আর আমার ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন নির্বাচন করবে ঢাকা-৪ থেকে। ইনশাল্লাহ, আল্লাহ যদি আমাদের সুযোগ দেন, আমরা আবারো দেশের জন্য কাজ করব।

বাংলাদেশের খবর : দল কি একই পরিবার থেকে দুজনকে মনোনয়ন দেবে?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : এখানকার উন্নয়নে স্থানীয় মানুষের দরকার। এখানকার ইউনিয়নের উন্নয়ন থেকে শুরু করে সব কাজ আমাদের হাত দিয়েই হয়েছে। কাজেই এলাকার মানুষ আমাদের চায়। আরেকটা কথা, এলাকার মানুষ এখন আমার চাইতেও বেশি ভালোবাসে আমার ছেলে রবিনকে। কারণ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সুখে-দুঃখে সে তাদের পাশে থাকতে শিখেছে। তাই তার নির্বাচন করার ঘোষণায় এলাকার নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রায় ৩৬টি মামলা দিয়েছে। প্রায় এক লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। এক্ষেত্রে রবিন নিজে উদ্যোগী হয়ে এসব মামলায় দলীয় নেতাকর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা করছে। দোয়া করবেন, আমরা যেন নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখসহ যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের পাশে থাকতে পারি। তবে সবশেষে বলব, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেটাই চূড়ান্ত।

বাংলাদেশের খবর : চলমান ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : যে ঐক্য প্রক্রিয়া চলছে, তাকে আমি স্বাগত জানাই। দেশের গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য এ ঐক্য অটুট থাকবে বলে আমি মনে করি, বিশ্বাস করি। এই নির্যাতনকারী সরকারের কাছ থেকে দেশ মুক্তি পাবে ইনশাল্লাহ।

বাংলাদেশের খবর : এলাকায় কি কাজ করার সুযোগ আছে?

সালাহউদ্দিন আহমেদ : এলাকায় আমার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে জনগণের কোনো সমস্যা থাকত না। বর্তমান সরকার ও এলাকার এমপি বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, বালুমহাল থেকে শুরু করে পাড়ায় পাড়ায় ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলারসহ এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে চাঁদাবাজি চলছে না। এগুলোর প্রতিবাদ করা তো দূরে থাক, এসব নিয়ে কথা বললেই মামলা হামলার শিকার হতে হচ্ছে। এটি শুধু আমার কথা নয়, এলাকার আওয়ামী লীগই এখন এসব নিয়ে বিভক্ত। আপনি কথা বললেই এসব জানতে পারবেন। মোটকথা, আমার এলাকাসহ দেশের জনগণ এখন এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। কেউ আর এই দেশে নিরাপদ নয়। সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করা হয়েছে আইন করে। তবে উপরে আল্লাহ আছেন, সবকিছুরই শেষ আছে। ইনশাল্লাহ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আবার আমরা জনগণের জন্য কাজ করতে পারব, এটা আমার বিশ্বাস।

FB_IMG_1539781911830

আমরা খেলে জিততে চাই, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না : হারুনুর রশীদ মুন্না

সাধারণ সম্পাদক, যাত্রাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগ

হারুনুর রশীদ মুন্না রাজনৈতিক অঙ্গনে পা রেখেছেন পারিবারিক সূত্রে। পরিবারে বাবা আওয়ামী লীগ করতেন। সেই থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ হওয়া এবং ছাত্রলীগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া। ২৪ বছর আগে থেকে তিনি দলের যাত্রাবাড়ী থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও পরে হাবিবুর রহমান মোল্লার সমর্থনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন বলে তার দাবি। ২০০৮ সালে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর এবং ২০১৪ সালে ১৪ দলের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন। এবারো তিনি ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশের খবরের হয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন

বাংলাদেশের খবর : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরে ঘোষণা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনি কি ঢাকা-৫ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন এবার?

হারুনুর রশীদ মুন্না : ২০০৮ সালে মাননীয় নেত্রী, যখন ঢাকা-৪ আসনটি ৪ ও ৫-এ বিভক্ত করা হয়, তখন সানজিদাকে ঢাকা-৪ এবং আমাকে ঢাকা-৫-এ দিয়েছিলেন। ঢাকা-৫-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। ২০০১ সালেও তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। তখন হাবিবুর রহমান মোল্লার পরিবারের সবাই আমাকে ধরলেন। হাবিবুর রহমান মোল্লা তখন সভাপতি ছিলেন এবং আমি সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তার পরিবারের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক ছিল। রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছিল বলে তখন আমি ইলেকশন করিনি। তার পক্ষে নির্বাচন করেছিলাম। তারপর ২০১৪ সালে ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার ৮টি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি রেজ্যুলেশন করে আমাকে মনোনয়ন দেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর এবং ২০১৪ সালে ১৪ দলের প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী থাকার সুবাদে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে আমি নেতাকর্মীদের চাপে এবার প্রার্থী হচ্ছি।

বাংলাদেশের খবর : দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু অন্যরকম। বিএনপি চেয়ারপারসন কারান্তরীণ আছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও কনভিক্টেড হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের নীতিনির্ধারকরা নেত্রীর মুক্তি ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না বলেছেন। আপনার মতামত কী?

হারুনুর রশীদ মুন্না : একটি বিষয় সবারই বোঝার ব্যাপার- ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্নে ছিলেন। এটা তো অস্বীকার করার মতো কিছু নয়। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, ডাকসুর ভিপি ছিলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, ঢাকা শহর একসময় যিনি কন্ট্রোল করতেন, মোস্তফা মহসিন মন্টু—তারাই তো ঐক্য প্রক্রিয়ায় জড়িত। এখানে বিএনপি মনে করছে তারা মানুষ পুড়িয়েছে, গরু পুড়িয়েছে, লঞ্চ-বাস কিছুই বাদ রাখেনি, বলতে গেলে তারা সমাজটাই পুড়িয়েছে। তাদের পোড়া ঘর নিয়ে মানুষ এখন বিব্রতবোধ করে। তাই তারা সবাই মিলে ড. কামালকে নিয়ে জোট করেছেন। আমরা ড. কামালকে নিয়ে যে যা-ই বলি না কেন, আন্তর্জাতিকভাবে তার একটা গ্রহণযোগ্যতা আছে। এটাকে পুঁজি করে বিএনপি দাঁড়াতে চাচ্ছে। এবার যদি তারা নির্বাচন না করে তাহলে তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে, বিএনপি টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তাদের প্রয়োজনেই তারা নির্বাচন করবে।

বাংলাদেশের খবর : বিএনপি কতটা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হবে আপনাদের কাছে ঢাকা-৫ আসনে?

হারুনুর রশীদ মুন্না : আমরা ২০১৮ বা ২০১৯ সালের নির্বাচনে তাদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রতিপক্ষ ভাবী। তবু প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে যে উন্নয়ন করেছেন তা তো অস্বীকার করা যায় না। আমরা ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকার মানুষ এখন অনেক ভালো আছি। অথচ এটা একসময় অবহেলিত জনপদ ছিল। আমরা এখন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে ৩ মিনিটে গুলিস্তানে যেতে পারি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকার আশীর্বাদের সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যা, জাতির জনকের কন্যা যখনই ক্ষমতায় থাকেন—তখনই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে, তখনই মানুষের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষ আর না খেয়ে থাকে না, মানুষ আর অশিক্ষিত থাকে না। মানুষ আজ কষ্টে নাই, শান্তিতে আছে, স্বস্তিতে আছে।

বাংলাদেশের খবর : নতুন জাতীয় ঐক্যজোট নিয়ে আপনার ব্যক্তিগত মতামত কী?

হারুনুর রশীদ মুন্না : আপনারা জানেন, ড. কামাল হোসেন ঢাকা-৫-এ নির্বাচন করেছিলেন। আবু হোসেন বাবলার সঙ্গে তিনি হেরেছিলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়ায় হেরেছিলেন। সুলতান মনসুর একবার হেরেছেন, একবার জিতেছেন। মোস্তফা মহসিন মন্টু কবে এমপি ছিলেন কেউ বলতে পারেন না। মান্নারা মনে করছেন হয়তো ৫-১০টি আসন চাইবেন। আমরা মনে করি, গতবার ২৮টি না ৩২টি আসন পেয়েছিল। এবার সর্বোচ্চ ৫০টি আসন পেতে পারে। তাই একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার মতামত, যে কোনো প্রক্রিয়ায়ই হোক, যাদের নিয়েই হোক, নিজেদের দলের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিএনপি যেন অবশ্যই এবারের নির্বাচনে আসে। বিএনপি তো আদর্শের কোনো দল নয়। ক্যান্টনমেন্টে তাদের জন্ম। নানা দলচ্যুত লোকজন নিয়ে, নানা কর্মকাণ্ড করে একটা ন্যাশনাল ক্লাব হয়ে গেছে। তাই আমরা চাই, সবাই নির্বাচনে আসুক। কারণ আমরা খেলে জিততে চাই, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না।

বাংলাদেশের খবর : আপনার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৫ আসনে বাস টার্মিনাল আছে। বর্তমান সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা। আগেও তিনি ছিলেন। এলাকায় কতটা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে?

হারুনুর রশীদ মুন্না : মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছোঁয়া তো সারা দেশেই আছে। আর রাজধানী ঢাকায় তো উন্নয়ন হবেই। এক্ষেত্রে হাবিবুর রহমান মোল্লা কী করেছেন, তা তো আমার দেখার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে গত ১০ বছরে এত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে যে, স্বাধীনতার পর অন্য কারো মাধ্যমে ঢাকা-৫ নির্বাচনী এলাকায় তা হয়নি।

বাংলাদেশের খবর : প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের এই বিষয়টি তো হাবিবুর রহমান মোল্লাও নিজের উন্নয়ন বলেই প্রচার করবেন, তাই না?

হারুনুর রশীদ মুন্না : শোনেন, তার বয়স এখন ৮৫ প্লাস। তিনি তো এখন কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। তাহলে তিনি কীভাবে এসব প্রচার করবেন? উন্নয়ন প্রচারের জন্যও তরুণ নেতৃত্ব দরকার। তিনি বয়সের ভারে কাবু।

বাংলাদেশের খবর : ঢাকা-৫ আসনের কিছু এলাকা মাদকের আখড়া। মাদক, চাঁদাবাজির সমস্যা আছে। আপনাদের মতো বিজ্ঞ লিডাররা থাকতে এ সমস্যাগুলো দূর করা যাচ্ছে না কেন?

হারুনুর রশীদ মুন্না : একটা বিষয় হলো কি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সারা দেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন তো নয় যে, তিনি শুধু ঢাকা-৫-এর প্রধানমন্ত্রী। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমিটমেন্টই হলো মাদকমুক্ত দেশ গড়া। মাদকের বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতিতে আছেন। আর আমরা যারা দলে নেতাকর্মী হিসেবে আছি, তাদের তো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। তবু আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনও আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আরো বলছি, আমাদের এলাকার মানুষের গুরুত্বপূর্ণ কমিটমেন্ট হচ্ছে মাদকমুক্ত এলাকা গড়া। মোল্লা সাহেব এলাকার দায়িত্বে, তিনি এসব ভালো বলতে পারবেন।

বাংলাদেশের খবর : আপনি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। এলাকাবাসীর কাছে আপনার নির্বাচনী কমিটমেন্ট কী? 

হারুনুর রশীদ মুন্না : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেত্রী যদি আমাকে নমিনেশন দেন এবং আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে প্রথমেই দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীকে চাঙ্গা করব। রাস্তাঘাট, কালভার্টসহ যা কিছু অসমাপ্ত রয়েছে, সেগুলো সমাপ্ত করব। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রাখব। প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে, দলীয় নেতাকর্মীরা আমাকে চাইলে এবং এলাকাবাসী ভোটে নির্বাচিত করলে আমার যৌবন তাদের কল্যাণে ব্যয় করব।

বাংলাদেশের খবর : দলের মনোনয়ন চাচ্ছেন হাবিবুর রহমান মোল্লা ও আপনি। দল আপনাদের একজনকে মনোনয়ন দিলে নিজেদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা আছে কি বা স্থানীয় পর্যায়ে দলীয় কোনো কোন্দল? 

হারুনুর রশীদ মুন্না : আমি সংক্ষেপে বলি, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আমি দলীয় প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছি। এবারো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হাবিবুর রহমান মোল্লাকে কেন—যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য কাজ করব। কারণ আমরা দেশের উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকার চাই। আমরা চাই শেখ হাসিনা যেন হ্যাটট্রিক প্রধানমন্ত্রী হন। আর এই মানসিকতা আছে বলেই তো আওয়ামী লীগ করি।

ASHUD

তফসিল ঘোষণার পরেই রাজনীতি দিতে যাচ্ছে, পরিষ্কার হবে : মীর আবদুস সবুর আসুদ

প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাতীয় পার্টি (এরশাদ)

মীর আবদুস সবুর আসুদ মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাতীয় পার্টির ঢাকা-৫-এর সম্ভাব্য প্রার্থী। মাতুয়াইলের স্থায়ী বাসিন্দা আসুদ ১৯৮৩ সালে যুব সংহতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর যুব সংহতির মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি, সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি। এরপর জাতীয় পার্টির যুগ্ম সম্পাদক, সম্পাদক, যুগ্ম মহাসচিব, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টাসহ একাধিক দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় পার্টির ক্রীড়া সংহতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন বাংলাদেশের খবরের বিশেষ প্রতিনিধি আসিফ সোহান

বাংলাদেশের খবর : আপনারা অর্থাৎ জাতীয় পার্টি একদিকে সরকারে, অন্যদিকে বিরোধী দলে আছেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কী ভাবছেন?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : আসলে আগামী নির্বাচনে চমক আছে। নতুন নতুন জোট হচ্ছে, আবার ভাঙছে। ১৪টি জোট এরই মধ্যে হয়েছে। এর আগে যুক্তফ্রন্ট ছিল, এখন খবর নেই। এখন ঐক্যফ্রন্ট হয়েছে। ২০-দলীয় জোট থেকে দুই নেতা বেরিয়ে গেছেন। একটা টানা-হ্যাঁচড়া হচ্ছে। আগামীতে তফসিল ঘোষণার পরেই রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে, পরিষ্কার হবে।

বাংলাদেশের খবর : এরশাদ সাহেব বলেছেন ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেবেন। এটা কি আপনাদের দলের পক্ষে এখন সম্ভব?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : আপনাকে একটা উদাহরণ দিই, ৮-দলীয় জোট বামের বন্ধুরা একটা জোট করেছেন। তারাও ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ওই জোটের অন্যতম নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঐক্যফ্রন্টের যোগাযোগ আছে। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, তারা কারো সঙ্গে জোট করবেন না। ৩০০ আসনের জন্য প্রার্থী তৈরি করছেন। আমরা তো তাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দল। প্রায় ৫৯টি দল আমাদের জোটে অন্তর্ভুক্ত। আজ রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই জোটের মহাসমাবেশ আছে। এখান থেকে কিছু চমক দেখতে পাবেন। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে কি-না কিংবা বিএনপির সঙ্গে থাকবে কি-না, সেটা তারা জানে না। মানুষ একটা জায়গায় যেতে চায়, যেখানে তারা নিরাপদ, সব দল নিরাপদ, গোটা দেশ নিরাপদ থাকবে। জাতীয় পার্টির শাসনামলে ৯ বছর জনগণ শান্তিতে ছিল, সামাজিক বেষ্টনী ছিল, গুচ্ছগ্রাম, উপজেলা, পথকলি ছিল। এরকম অনেক উন্নয়নের সঙ্গে আমরা জড়িত ছিলাম। এই যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন করছেন বলছেন, এত মূল্য দিয়ে যে উন্নয়ন, সেটা আমাদের সময় ছিল না। ৪-৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে শুধু পদ্মা সেতু ছাড়া সবই করা হয়েছিল। যমুনা সেতু, মেঘনা-গোমতী সেতু, বুড়িগঙ্গা সেতু, ধলেশ্বরী সেতু, পঞ্চগড় সেতু- এরকম অনেক সেতু করেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কয়েক হাজার কিলোমিটার সড়ক করেছেন। উপজেলা, ইউনিয়ন সংযোগ সড়ক, বিশেষ করে ঢাকা যে এখনো বাসযোগ্য নগরী আছে, সেটা এরশাদ সাহেবের কারণে। পান্থপথ, বিজয় সরণি, মুক্তি সরণি, সচিবালয়ের ২১-তলা ভবন, যেখান থেকে সরকার দেশ পরিচালনা করছে, সেটা নির্মাণ করেছেন এরশাদ সাহেব। মেয়র সাহেব যে ভবনে বসেন, সেটা এরশাদ সাহেবের করা। আইজি সাহেব যেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখছেন, জঙ্গি-জামায়াত নির্মূল করছেন, সেই পুলিশ সদর দফতর এরশাদ সাহেব নির্মাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, কুয়েত মৈত্রী হল, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সাভারে বিকেএসপি এরশাদ সাহেব করেছেন। মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়াম এরশাদ সাহেবের করা। কমলাপুর ও ধলপুর স্টেডিয়াম তার করা। কাজেই মানুষ পল্লীবন্ধু এরশাদের শাসনামল ফিরে পেতে চায়। এরশাদ সাহেবকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। শান্তি চায়, স্বস্তি চায়, সুবিচার চায়, সুখ চায়, জীবনের নিরাপত্তা চায়, উন্নয়ন অগ্রগতির পাশাপাশি কর্মসংস্থান চায়, মায়ের কোলে শিশুর নিরাপত্তা চায়। মা-বোনের সম্ভ্রম রক্ষার নিশ্চয়তা চায়। গণতন্ত্র চায়, সুশাসন চায়। দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দেখতে চায়।

বাংলাদেশের খবর : কিন্তু জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসতে না পেরে শুধু ক্ষমতার সিঁড়ি হয় কেন?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। কিন্তু এরশাদ সাহেবের বদান্যতায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। মহাজোটের রূপকার এরশাদ সাহেব, চারদলীয় জোটের রূপকার এরশাদ সাহেব। ২০০৬ সালে ছিল আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোটে এরশাদ সাহেব যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হলো মহাজোট। নো এরশাদ, নো ইলেকশন। ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানেও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে সহযোগিতা করেছে।

বাংলাদেশের খবর : আমার প্রশ্নও তো তা-ই, আপনারা শুধু সহযোগিতা করছেন ক্ষমতায় যেতে, সেটা কেন?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : আমি শেষ করি, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যদি এরশাদ সাহেব জাতীয় সরকার গঠনে সহযোগিতা না করতেন, আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন না। আসলে তার ডায়নামিক লিডারশিপ, তিনি যেদিকে যাবেন ক্ষমতা সেদিকে যাবে। এখন এরশাদ সাহেব যদি ঐক্যফ্রন্টে যায়, তাহলে কী অবস্থা হবে বুঝতেই পারছেন। এরশাদ সাহেবের ক্ষমতায় যাওয়ার মতো এখনো সুযোগ আছে।

বাংলাদেশের খবর : আমি তো আপনাকে তাই প্রশ্ন করছি, তিনি নিজে ক্ষমতায় না গিয়ে শুধু আরেক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি কেন হচ্ছেন?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : দীর্ঘ ২৮ বছর আমরা ক্ষমতার বাইরে থাকায় আমাদের অনেক নেতা-কর্মী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেছেন। তাই এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচন করাটাকে দেশবাসী আমাদের কীভাবে নেবেন, সেই কনফিডেন্সটা আমরা কিছুটা বোধহয় হারিয়ে ফেলেছি। এ কারণে মনে করি দেশবাসী আমদের কীভাবে মূল্যায়ন করবে। যদি সব নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করি, তাহলে এককভাবে জাতীয় পার্টির পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশের খবর : আপনারা সংসদে বিরোধী দল, আবার মন্ত্রিসভায় আপনাদের মন্ত্রীও আছেন। ঢাকা-৫ আসনে কী উন্নয়ন হয়েছে?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : এখানে হানিফ ফ্লাইওভার ছাড়া দৃশ্যত আর কোনো উন্নয়নই হয়নি। তা-ও ফ্লাইওভারের কাজ বিএনপি আমলে শুরু হয়েছে, আওয়ামী লীগ আমলে এসে শেষ হয়েছে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার, স্টেডিয়াম আমরা করেছি। সায়েদাবাদ-জনপদ, ধোলাইখাল সড়ক, ডিএনডি প্রতিরক্ষা বাঁধ আমরা করেছি, ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক আমরা করেছি। কাজেই আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ এরশাদ সাহেবের কাছে ঋণী। আমরা যদি লাঙ্গলের ভালো প্রার্থী পাই, তিনি যদি স্থানীয় হন এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকে, পারিবারিক পরিচিতি থাকে, তাহলে জাতীয় পার্টির জয়লাভ নিশ্চিত।

বাংলাদেশের খবর : এলাকায় বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজি, বালুমহাল আছে, মাদকের আখড়া হিসেবেও পরিচিত, এটি কেন?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : এটা এমপি সাহেবকে জিজ্ঞেস করুন। এখানে সুবিধা-অসুবিধা কী আছে, সবই এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা আর তার পরিবারই ভালো বলতে পারবে। সরকার বা এমপি সাহেব বা তার পরিবার যে প্রশ্নবিদ্ধ, এসব কারণেই। চাঁদাবাজির আরো নতুন নতুন খাত বাড়িয়েছে, সেগুলো আমি বলতে চাই না। আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো। তিনি আমার প্রতিবেশী।

বাংলাদেশের খবর : একটি দল থেকে নির্বাচন করবেন। রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনিও তো এসবের দায় এড়াতে পারেন না?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : সায়েদাবাদ টার্মিনালে বালুমহালে আমি কখনো যাইনি, কোনো সুবিধাও নিইনি। কারণ এলাকায় মাদকের যে বিস্তার, তা সম্ভব হয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায়। আর প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় সংসদ সদস্য। সংসদীয় গণতন্ত্রে এমপিকে বলা হয় লোকাল প্রাইম মিনিস্টার। ওই নির্বাচনী এলাকার প্রধানমন্ত্রী তিনি। কাজেই তার যদি সদিচ্ছা থাকে, আর আমাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা অবশ্যই সঙ্গে থাকব এবং এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু নয়। এখন মানুষ এসবের পরিবর্তন চায়। আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আছে। মাতুয়াইল থেকেই এমপি নির্বাচিত হন এই আসনে। এবার জনগণ আমাকে চায়।

বাংলাদেশের খবর : নতুন ঐক্যজোট নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?

মীর আবদুস সবুর আসুদ : আমার ধারণা, এই ঐক্যজোট একটা ঝাঁকুনি দিতে পারবে, রাজনীতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে। যেমন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ একদিকে ছিল আর বিএনপি ও জামায়াত একদিকে ছিল। এখন বিএনপি নেই, জামায়াতও নেই। এই দুই দলকে তুলে আনার জন্য যেখান থেকেই হোক একটা প্রক্রিয়া চলছে। হয়তো একটা ভারসাম্য আসবে রাজনীতিতে। 

 

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads