• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ফিচার

তৃষ্ণার্তের ‘আপ্যায়ন’

  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

সেরাজুম মুনীরা

 

 

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অঢেল অর্থ-বৈভব, সম্পত্তি লাগে না। লাগে মানুষকে সাহায্য করার ইচ্ছে। এই ইচ্ছেটাই অনেকের মাঝে থাকে। আবার অনেকের মাঝে থাকে না।

মো. আনোয়ার হোসেন বাদশা। ছোটবেলা থেকেই খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়া থাকেন। ‘আপ্যায়ন’ নামে তার একটি দোকান আছে। এই দোকানে কনফেকশনারি আইটেম বিক্রি হয়। বিশেষ করে এই দোকানের ‘চা’ এলাকায় জনপ্রিয়। এই দোকানের বৈশিষ্ট্য হলো এখান থেকে সব দ্রব্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হয়।

রাজধানীতে ফিল্টার পানি খেতে গেলে এক গ্লাস অনেক জায়গায় ১ টাকা আবার কোনো কোনো জায়গায় ২ টাকাও রাখে। বাদশা তার দোকানে কেউ পানি খেলে টাকা নেন না। তার ফিল্টারে বড় করে লেখা আছে, ‘পানি বিক্রয় হয় না। একজনের জন্য এক গ্লাস।’ বাদশাহ ভাইকে প্রশ্ন করা হলো কেন তিনি এই পানি তার// কাস্টমারকে ফ্রি খাওয়ান। জবাবে বাদশাহ জানান,তার দোকানের নাম আপ্যায়ন। তিনি তার কাস্টমারকে সমাদর করেন। অন্য কিছুর টাকা নিলেও পানির জন্য কোন টাকা নেননা। অন্তত পানি ফ্রি দিয়ে তাদের সমাদর করেন তিনি। প্রতি ব্যাক্তি ফ্রিতে একগ্লাস পানি খেতে পারবেন।

এই দোকানে কাস্টমারের ভীড় লেগেই থাকে। প্রদিনি বাদশার দোকানে ২-৩ জার লাগে। প্রতি জার পাইকারী বাদশাহ ৩০ টাকা করে কিনেন। সেই হিসেবে প্রতিদিন ১২০ টাকার পানি যায়।  যা তিনি কাস্টমারদের বিনামূল্যে খাওয়ান। বাদশাহ বলেন,‘পানি হচ্ছে আল্লাহপাকের নিয়ামত। এ পানি খেয়ে অনেক লোক  আমাকে ধন্যবাদ জানায়। আমি বিয়ে করিনাই। ছোটবেলা থেকেই ব্যবসা করি।  আমি ফলের দোকান করেছি,ওয়েল্ডিং এর কাজ করেছি। চায়ের দোকান ১ বছর ধরে দিয়েছি।’

ছোটবেলা থেকেই খিলগাও থাকেন বাদশাহ। পরিবারের বড় ছেলে হওয়াতে তার উপর দায়িত্ব ছিল অনেক। বাশাহর বয়স ৪০ ওর মত। জানান এখন সংসারী হতে চান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads