• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সুবিধাবঞ্চিত ও অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে পুলক বিদ্যা নিকেতনের যাত্রা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ফিচার

সুবিধাবঞ্চিত ও অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে পুলক বিদ্যা নিকেতনের যাত্রা

  • ফেনী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৯

শিশুদের উপর নিষ্ঠুরতা যখন ঘাড় চেপে বসেছে ঠিক তখন কিছু ভাল মনের মানুষের উদয়ে নতুন চিন্তা সত্যিই আশা জাগায়। শিশুদের মন বুঝে এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। শিশুদের আগলে রাখা ও মান‍‍ুষ তৈরিতে একটু ধৈর্য নিয়ে চলতে হয়। সেই নতুন কিছু চিন্তায় ,বর্তমানে শিশুদের পড়ার উপর অত্যধিক চাপ সব ভেবেই একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন পরিচালক নিজাম উদ্দিন পুলক। ফেনী সদর উপজেলার দাউদপুরে প্রতিষ্ঠা করেন গত বছর জানুয়ারীতে ‘পুলক বিদ্যা নিকেতন’।

সম্পূর্ণ লেখাপড়ার চাপ ছাড়াই তিনি স্কুলে শিশুদের এক প্রকার লালন পালন করেন। নিরিবিলি ,কোলাহল মুক্ত একটা পরিবেশ তিনি বেছে নিয়েছেন। যা শিশুদের নানাবিধ যান্ত্রিক শব্দ ক্ষতিকারক চিন্তা করেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। প্লে গ্রুপ হতে পঞ্চম শ্রেণী রাখলেও শিশুদের সুবিধায় তিনি সেসব শ্রেণীকে এক প্রকার লুকায়িত রাখেন তাদের কাছ থেকে। যাতে স্কুল মনে না হয় শিশুদের কাছে। পরবর্তীতে অষ্টম শ্রেণীতে উন্নিত করার প্রয়াস তার। আবাসিক অনাবাসিক দুটোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেল, কচি মুখগুলো তাদের স্বাভাবিক ছন্দে লেখাপড়া করছে খেলাধুলা করতে করতে। পরিচালক জানালেন, শিশুরা যতটুকু চায় আমরা ততটুকু দেই, বাড়তি কোন প্রেসার নেই। ওরা ওদের মতো করে টিচারের সান্নিধ্যে থেকে যা পড়ে যতক্ষণ পারে ঠিক অতোটুকু। বই এর বোঝা ওদের নেই বললেই চলে। এখানে গরীব, সুবিধা বঞ্চিত শিশু ,অটিস্টিক শিশুদের জন্যও ব্যবস্থা রয়েছে। যাদের নাম মাত্র অর্থে পড়াশোনার ব্যবস্থা রেখেছেন। স্কুল শেষে দুপুরের পর আরবী শিখারও ব্যবস্থা করেছেন বলে তিনি জানালেন। যা সম্পূর্ণ অবৈতনিক। সব শিশুরা নিজ ইচ্ছে মতো এসে আরবী শিখতে পারছে। বাধ্যবাধকতা নেই ভর্তির। আরবী শিক্ষক প্রতিদিন সময়ানুযায়ী হাজির থাকেন। শিশু ২/১ জন দিয়েই পড়ানো আরম্ভ করেন। পড়ার আওয়াজে অন্যরা আসলে তাদেরও পড়ান । এভাবে চলে প্রতিদিন। কোন ছাত্রছাত্রী নির্দিষ্ট লিপিবদ্ধ নেই। প্রতিদিন শিশুরা নিজের ইচ্ছে মতো পড়তে আসছে। সমাজের যে কোন অসুবিধায় পড়া নাগরিকদের পরিবারের শিশুকে তিনি এভাবেই সুযোগ সুবিধা দিয়ে গড়তে চান তিনি জানালেন। শিশুদের জন্য মাতৃস্নেহে পাঠদানের জন্য শিক্ষিকাদেরও চাকুরী দিয়েছেন। সেখানেও তিনি একটা ছাড় রেখেছেন। নারীদেও কর্ম সংস্থানের ,বাড়তি আয়ের চিন্তা করেই। গৃহিনী, ছাত্রীদের তিনি ভালভাবে বুঝিয়ে দেন কেমন আচরণ হতে হবে শিশুদের সাথে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads