• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ফিচার

জলবায়ু ঝুঁকিতে দেশের ২ কোটি শিশু

  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৯

সেরাজুম মনিরা

 

 

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের এক কোটি নব্বই লাখেরও বেশি শিশু সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব শিশুর এক-চতুর্থাংশের বয়স পাঁচ বছরের কম।

বন্যা ও নদীভাঙনের মতো সমস্যার কারণে অনেক পরিবারকে শহরের বস্তিতে গিয়ে গাদাগাদি, ঠাসাঠাসি করে বসবাস করতে হচ্ছে। সেখানে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার, শিক্ষা, পর্যাপ্ত স্বাস্থসেবা, স্যানিটেশন এবং নিরাপদ খাবার পানির সংকটে থাকে তারা। এসব বস্তিতে বসবাসকারী শিশুরা অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানে শিশুশ্রম, বাল্যবিয়ে, সহিংসতা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নিপীড়নের শিকার হতে হয় শিশুদের।

সম্প্রতি ইউনিসেফের ‘দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড চিলড্রেন ২০১৯, চিলড্রেন, ফুড অ্যান্ড নিউট্রেশন, গ্রোয়িং ওয়েল ইন এ চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষির ওপর জীবিকা নির্বাহ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খরা ও বন্যায় দেশটির কৃষিখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার মানে দরিদ্র পরিবারের শিশুদের না খেয়ে থাকার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে যায় এবং দরিদ্র পরিবারগুলোর ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

এতে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে শিশুপুষ্টির জন্যও হুমকি। ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় পাঁচ বছরের নিচের বয়সী ৫ কোটি ৮৭ লাখ শিশু সঠিকভাবে বেড়ে ওঠেনি। বিকশিত হয়নি প্রায় ২ কোটি ৫৯ লাখ শিশু। শিশু ও তরুণরা বেঁচে থাকছে ঠিকই, কিন্তু তাদের মধ্যে খুব সামান্যই বিকাশ বা বৃদ্ধি ঘটছে।

ইউনিসেফ বলছে, পরিবর্তিত জলবায়ু পরিস্থিতি, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে শিশুসহ তাদের পরিবারের মধ্যে হেপাটাইটিস এ, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

এ বছর জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল এবং অ্যাকশন প্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। ওই পরিকল্পনায় দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকাদের চাহিদার ভিত্তিতে ক্ষেত্রগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া শিশুপুষ্টি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশনের মতো বিষয়গুলো নিশ্চিতের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads