• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের যাচাইয়ে সময় নেবে মিয়ানমার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের দেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে আরো সময় নেবে মিয়ানমার। দেশটির সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।

আগামী ১১-১২ এপ্রিল ঢাকায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মিয়াত আয়ে। এই সফরে তিনি রোহিঙ্গা শিবিরও পরিদর্শন করবেন। তার এ সফরকে সামনে রেখে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের গড়িমসির বিষয়টি উত্থাপন করা হলে তিনি তালিকার ফরমে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য না থাকা এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সময়মতো তা না পাঠানোর অভিযোগ করেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার ৩২ রোহিঙ্গার একটি তালিকা মিয়ানমারকে দেওয়া হয়। সেটি যাচাই-বাছাই শেষে মাত্র ৯০০ রোহিঙ্গাকে অনুমোদিত করে নেইপিডো। এদের মধ্যে ৫০০ মুসলিম ও ৪০০ হিন্দু। বিষয়টি উল্লেখ করে ফ্রি এশিয়ার পক্ষ থেকে প্রশ্ন করা হলে মিয়াত আয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, সে অনুযায়ী ফরমে সব তথ্য পূরণ করা হয়নি। শরণার্থীরা ফরমে চাওয়া সব তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করলে এ প্রক্রিয়া (প্রত্যাবাসন) দ্রুততর হবে। বাংলাদেশ সফরে বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।’

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে যুক্ত করার বিষয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী বলেন, ‘চুক্তিতে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে যুক্ত করা যেতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও উন্নয়ন সংস্থার (ইউএনডিপি) সঙ্গে আলোচনা করেছি।’

শরণার্থী ইস্যুকে তিনি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশের জন্যই সমস্যা বলে উল্লেখ করেন। মিয়াত আয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়াদের ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব।’ কত ভালোভাবে বিষয়টি সম্পন্ন করা যায়, এ নিয়ে আলোচনা করতইে তিনি বাংলাদেশে আসছেন বলে জানান। সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি ও এর কারণ নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।

বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও, লুটপাটের শিকার হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে তাদের প্রত্যাবাসনে রাজি হয় মিয়ানমার।

সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সম্মতিপত্র সই করে দেশটি। ওই সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে দুই দেশ ১৯ ডিসেম্বর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে। রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাইয়ের জন্য একটি ফরমও চূড়ান্ত করা হয় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে। কিন্তু এখনো রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রত্যাবাসন শুরু করেনি মিয়ানমার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads