• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

ছবি : সংগৃহীত

খাদ্য

উপকারী সবুজ চা

  • ফয়জুন্নেসা মণি
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল ২০১৮

জাপানের টহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে দু’কাপের বেশি গ্রিন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট। সবুজ চা কিডনি, ডায়াবেটিস, ক্যানসার ও হার্টের জন্য মহৌষধ হিসেবে বিবেচিত। গ্রিন টি নিয়মিত পান করলে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। পেট পরিষ্কার থাকে আর মস্তিষ্ককে সর্বদা সচল রাখে। এই চা কেবল পিপাসাই মেটায় না, ক্লান্তিও দূর করে। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের কাছে গ্রিন টির কদর দিন দিন বাড়ছে। গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে। এই চা মানুষের আয়ু বাড়াতেও ভূমিকা রাখে। জাপানি দার্শনিক কাকুসো ওকাকুরা বলেছেন, গ্রিন টি প্রথমে ছিল ওষুধ তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টির রয়েছে নানা গুণ। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ই, সি, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল, যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন। গবেষকদের দাবি, নিয়মিত সবুজ চা বা গ্রিন টি পান করে এইচআইভির বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব। তাদের যুক্তি, সবুজ চায়ের মধ্যে যে এপিগ্যালোক্যাটেসিন গ্যালেট (ইজিসিজি) রয়েছে সেটি এইচআইভিকে নিরাপদ দূরত্বে ঠেলে রাখতে বেশ কার্যকর। যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, সবুজ চা ক্যানসার কোষের প্রজনন প্রতিরোধ করে। গবেষণায় জানা যায়, সবুজ চা শরীরের টোটাল কোলেস্টেরল লেভেলের উন্নতি করে। ক্যানসার, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, হাই কোলেস্টেরল, কার্ডিওভাসকিউলার ডিজিজ- অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে গ্রিন টি পান করলে।

বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন গ্রিন টি গরম পানিতে কমপক্ষে ১০ মিনিট রেখে দিলে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধক রাসায়নিক যৌগ বেশি নিঃসৃত হয়। জানা গেছে, চার হাজার বছর আগে চীনে মাথাব্যথার ওষুধ হিসেবে প্রথম সবুজ চায়ের ব্যবহার শুরু হয়। এরপর সময়ের ব্যবধানে চীন, জাপান, কোরিয়াসহ পশ্চিমা দেশেও এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হতে দেখা যায়। গবেষকরা জানিয়েছেন, গ্রিন টি পান করলে রক্তনালি শিথিল হয়। এমনকি প্রতিদিন কয়েক কাপ এই চা পান করলে রক্তচাপ কম থাকে। পশ্চিমা ও এশিয়ার গবেষকরা গ্রিন টির মধ্যে অনেক রোগের ওষুধ অবিষ্কার করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads