• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

প্রতীকী ছবি

খাদ্য

খাবারে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ

  • ফয়জুন্নেসা মণি
  • প্রকাশিত ১৩ মে ২০১৮

রোগ প্রতিরোধে আমাদের ইমিউন সিস্টেম যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও শরীরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ খাবার প্রাকৃতিকভাবেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করে। অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল খাবার হিসেবে মধুতে রয়েছে সক্রিয় এনজাইম, যা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডের নিষ্পত্তি করে, যা জীবাণুনাশক বলে পরিচিত। এক চা চামচ মধু মেশানো পানিতে পাবেন অনেক উপকার। গলার ইনফেকশনের জন্য কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান হচ্ছে আদা। এক টুকরো আদা মুখে পুরে ভালোভাবে চিবিয়ে এর রস গিলে ফেলুন। কাশি সারাতে ও ব্যাকটেরিয়ানাশে আদার রস খুবই কার্যকরী। অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান হিসেবে লেবু খুবই উপকারী। প্রতিদিনের ভিটামিন ‘সি’-এর চাহিদা পূরণে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এক গ্লাস লেবুর পানি পান করা যেতে পারে। লেবু ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। ফলে ত্বকে ব্রণ দেখা দেয় না। এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘সি’তে পরিপূর্ণ বলে ফ্রি রেডিক্যালসের কারণে শরীরের অসুখবিসুখ প্রতিরোধ করে। গ্রীষ্মকালীন ফল আনারস অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমৃদ্ধ। জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট মুখ ও গলার অসুখ সারিয়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাজা আনারসের রস রক্ত ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে, নাকের প্রদাহ ও সাইনাসের উপসর্গ কমায়। শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধক উপাদান হিসেবে বহুল পরিচিত রসুন। খেতে ঝাঁজালো হলেও রোগ প্রতিরোধে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একধরনের উপাদান। রসুন চিবানোর সময় এর উপকারী উপাদান বের হয়ে আসে এবং রোগ প্রতিরোধে সক্রিয় হয়ে ওঠে। কাটা-ছেঁড়া ও ক্ষত সারাতে অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করা হতো একসময়। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশও পরিচ্ছন্ন রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এক গ্লাস দুধে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads