• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বন্যার সময় যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি

সিরাজগঞ্জ থেকে সম্প্রতি তোলা ছবি

ফাইল ছবি

খাদ্য

বন্যার সময় যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ জুলাই ২০১৯

বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিলে নিরাপদে থাকার পাশাপাশি খাদ্য সংরক্ষণও একটি জরুরি বিষয়। কারণ এ সময় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে পানিবাহিত নানা রোগ। তাই আগে থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। তবে একটু সচেতন হলেই বন্যা চলাকালীন ও তার পরবর্তী সময়ে খাদ্যের সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো সংরক্ষণ করবেন—

চাল : বন্যা শুরু হয়ে গেলে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে চলাফেরা করা অনেক সময় কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই আগে থেকেই চাল সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, যেন দুর্যোগের দিনগুলোতে চালের সংকট না দেখা দেয়।

ডাল : শুধু চাল রাখলেই তো আর হবে না, সঙ্গে খাওয়ার মতোও কিছু রাখা চাই। আর কিছু না থাকলে দুটি চাল-ডাল ফুটিয়ে যেন ক্ষুধা নিবারণ করা যায়। তাই চালের পাশাপাশি ডালও সংরক্ষণ করুন।

আলু : সম্ভব হলে শুকনো স্থানে আলু সংরক্ষণ করুন। এটি দুর্যোগের দিনগুলোতে ক্ষুধা নিবারণে আপনাকে সাহায্য করবে।

মুড়ি : শুকনো খাবারের মধ্যে মুড়ি সহজলভ্য। তাই এটি সহজেই সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে পারবেন। বন্যা দেখা দিলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুড়ি সংরক্ষণ করুন।

চিড়া : মুড়ির মতো চিড়াও বেশ সহজলভ্য এবং এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সক্ষম। তাই বন্যার আগেই শুকনো খাবার হিসেবে চিড়া সংরক্ষণ করুন।

খই : মুড়ি-চিড়ার পাশাপাশি সংরক্ষণ করতে পারেন খই। একটি বাষ্পরুদ্ধ জারে বা মুখ আটকানো পলিথিনে খই সংরক্ষণ করুন।

বিস্কুট : বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট সংরক্ষণ করতে পারেন। তবে বিস্কুট কেনার আগে দেখে নিন তার মেয়াদ আছে কি না এবং মানসম্মত কি না। নয়তো মানহীন বা মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গুড় : শুধু মুড়ি বা চিড়া খেতে ভালো না-ও লাগতে পারে। তাই সংরক্ষণ করতে পারেন গুড়। গুড়ের শরবত খেলেও তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সতেজ থাকা যাবে। গুড়ের পাশাপাশি চিনিও রাখতে পারেন।

নারিকেল : নারিকেল শুকনো বলে এটি সংরক্ষণ করা সহজ। আবার ক্ষুধা নিবারণে সহায়ক ও পুষ্টিও জোগায়। তাই দুর্যোগের দিনগুলোর জন্য সংরক্ষণ করতে পারেন নারিকেল।

খেজুর : শুকনো ফলের মধ্যে খেজুর সংরক্ষণ করতে পারেন। এটি সহজে নষ্ট হবে না এবং আপনাকে দ্রুত শক্তি দেবে।

বাদাম : শুকনো ফল হিসেবে বাদামও রাখতে পারেন। যেসব বাদাম সহজলভ্য, সেগুলোই সংরক্ষণ করুন। বিপদে কাজে লাগবে।

বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা : শুকনো খাবারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থা রাখাও জরুরি। কারণ বন্যার সময় সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় বিশুদ্ধ পানির। তাই ফিল্টার, ফিটকিরি ইত্যাদি পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র ও উপাদান নাগালে রাখুন।

স্যালাইন : বন্যার সময় পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কারণ বন্যার পানির মাধ্যমে খুব সহজেই জীবণু আপনার কাছে পৌঁছে যায়। তাই পর্যাপ্ত স্যালাইন সংরক্ষণ করুন।

ওষুধ : প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সরঞ্জাম ও প্যারাসিটামল ধরনের ওষুধ সংরক্ষণ করতে পারেন। কারণ এ সময় এগুলো দরকার হতে পারে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads