• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বর্ষায় যেসব খাবারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন

সংগৃহীত ছবি

খাদ্য

বর্ষায় যেসব খাবারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন

  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০১৯

দিনরাত মুষলধারে অথবা টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরতে থাকা বর্ষার এই রূপ মুগ্ধ করে সবাইকে। আবার একথাও জেনে রাখা ভালো, বর্ষায় সংক্রমণজনিত রোগ ও ফ্লু হয়ে থাকে বেশি। তাই বর্ষায় সুস্থ থাকার জন্য সতর্কতা প্রয়োজন, বিশেষ করে খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে। বর্ষার সময় যে ধরনের খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কতা প্রয়োজন সেগুলোর বিষয়ে জানাচ্ছেন এস. আর. শশী

ঠান্ডা পানীয় আমাদের শরীরের খনিজের পরিমাণ কমায় বলে এনজাইমের কার্যকারিতাও কমে যায়। বিশেষ করে দুর্বল পরিপাকতন্ত্রের জন্য এটি অসহনীয় হয়ে ওঠে। তাই ঠান্ডা পানীয়ের পরিবর্তে সাধারণ পানি বা লেবু পানি অথবা আদা চা পান করা যেতে পারে।

ভাজা খাবার

বাদলা দিনে যেন ভাজা খাবারের উৎসব শুরু হয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ সময় ভাজাপোড়া খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এ সময়ে আবহাওয়া আর্দ্র থাকায় পরিপাক প্রক্রিয়া ধীর গতির হয়ে যায়। তাই এ সময়ে পাকোড়া, সমুচা ইত্যাদির মতো ভাজা খাবার খেলে পেট ফাঁপা বা পেট খারাপ হওয়ার মতো গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খেলে শরীরে পানি জমে যেতে পারে।

শাকসবজি

শাকসবজি খাওয়া আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও বর্ষায় তা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এই সময়ের শাকে অনেক বেশি ময়লা ও কাদা থাকে, যা জীবাণুর আখড়া। তাই এ সময়ে পালংশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি সবজি না খাওয়াই ভালো। বরং এসবের পরিবর্তে করলার মতো তিতা সবজি গ্রহণ করা ভালো। তবে শাক যদি খেতেই চান তাহলে খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে রান্না করতে হবে।

পানিসমৃদ্ধ ফল

তরমুজের মতো পানিসমৃদ্ধ ফল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ এগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকতে পারে। এর পরিবর্তে শুকনো ফল, যেমন কাঠবাদাম, আখরোট ও ডুমুর খেতে পারেন।

কেটে রাখা ফল

সবসময় তাজা ফল খাওয়াই ভালো। কারণ এতে দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিপরীতে আগে থেকেই কেটে রাখা ফলে জীবাণুর বিস্তার ঘটতে পারে। পথের ধারে ফল বিক্রেতাদের কেটে রাখা ফলগুলো দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে আসে বলে এগুলো না খাওয়াই ভালো। এ সময়ে বাতাসেও ফল কেটে রেখে দেওয়া ঠিক নয়। এর পরিবর্তে তাজা ফল কেটে বা জুস বানিয়ে খেতে পারেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads