• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সরকার

কক্সবাজারে বেসরকারি বিনিয়োগ চায় সরকার

  • প্রকাশিত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজার জেলায় তিনটি ট্যুরিজম পার্ক নাফ ও সাবরং এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়ন কাজ আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। তখন এসব পার্ক পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে ‘বিনিয়োগ সুযোগ উদঘাটন : কক্সবাজারে বিশেষায়িত ট্যুরিজম পার্ক’ শীর্ষক সেমিনারে বেজা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং বেজা'র সদস্য মো. হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।

পবন চৌধুরী বলেন, নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ হবে। এসব পার্ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার। বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি জানান, নাফ ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করার জন্য সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।

পবন চৌধুরী বলেন, ৩টি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের ফলে আগামী ৫ বছরে ২ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং এ খাত হতে বছরে অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই তিন ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের ট্যুরিজম শিল্পের ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো জানান, ট্যুরিজম পার্ক ছাড়াও কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন প্রদান করেছেন। এর মধ্যে মহেশখালী-৩ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিশ্ববিখ্যাত এলপিজি সুপার পেট্রোকেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডের ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সেমিনারে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, পর্যটন খাতে ট্যাক্স হলিডে নিশ্চিত হলে বা কিছুটা কম হলে এ ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে। কক্সবাজারের এই তিন ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে বেজা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, রেলপথ নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন হলে এ সকল ট্যুরিজম পার্কে পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তিনি ভিলেজ ট্যুরিজম অক্ষুন্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিকল্পিত ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গুরুত্বপূর্র্ণ ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটনের কেন্দ্রবিন্দু হবে। তিনি দ্রুত পর্যটন বিকাশে হোটেল ব্যবসায়িদের জন্য ট্যাক্স ইনসেনটিভ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, বেজা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বেজা ইতোমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স এবং মধ্যে ৫টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads