• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

এই সফর কূটনৈতিক সাফল্যের ফল : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ মে ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও সৌদি আরব সফরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। তিনি বলেছেন, এই সফর সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যের ফল।

সফরের নানা বিষয় তুলে ধরতে বুধবার বিকেল চারটায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কমনওয়েলথ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বাংলাদেশের উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে।’ এছাড়া দেশীয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করার জন্য বিদেশি উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

কমনওয়েলথ সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে । এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই সফরকে আমার সরকারের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করি।'

সাম্প্রতিক সফরে নরেন্দ্র মোদী, জাস্টিন ট্রুডোসহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকের বিষয় উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এই সফরগুলোতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী। আলোচনায় সড়ক দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ উঠে এলে, দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক ব্যবহারে পথচারীদেরকে নিয়ম মানার আহ্বান জানান তিনি।

আইন না মেনে রাস্তা পারাপারের ব্যপারে তিনি বলেন, ‘আমার এই কথাগুলো অনেকে পছন্দ করবেন না। কিন্তু যা বাস্তব, তাই বলছি। রাস্তায় চলার নিয়ম আছে, সেটা আমরা কতটা মানি? একটা গাড়ি দ্রুতগতিতে আসছে, আমরা হাত একটা তুলে রাস্তায় নেমে গেলাম…. যারা পথচারী, তাদেরও কিছু রুলস জানা দরকার, মানা দরকার।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি বাসে চড়ে যাচ্ছেন, কেন আপনি হাত বাইর করে যাবেন? আপনারা (সাংবাদিক) যার হাত গেল, তার জন্য কান্নাকাটি করছেন; কিন্তু সে যে নিয়ম মানছে না, সে কথা তো বলছেন না।’

এছাড়া কোটা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীরা কোটা চায় না বলেই সেটি বাতিল করে দিয়েছি। এখানে ক্ষোভের তো কোনো কারণ নেই। ছাত্রদের দাবি ছিল কোটা চায় না। তাই আমরা বাতিল করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা থাকবে কি থাকবে না সেটি ছাত্রদের বিষয় না। এটি সরকারের নীতি নির্ধারণের বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে গেছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে তারা তো নামকাওয়াস্তে পড়ে। বলতে গেলে বিনা পয়সায় সবাই পড়ালেখা করছে। তারপরও যেহেতু এত দাবি করছে, তাই আমি দাবি মেনে নিয়েছি। এটা নিয়ে এত কথার কী আছে?’

তিনি বলেন, ছাত্রদের আন্দোলনের সময় তো আপনাদের কাউকে দেখিনি, ছাত্রদের থামাতে এগিয়ে যেতে। আন্দোলনে কারা জড়ো হচ্ছে কই সেই বিষয়ে তো কেউ কথা বলেননি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা হলেও ৭৫ পরবর্তী কতজন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরি পেয়েছে? তখন তো জিয়াউর রহমানের সরকারের ভয়ে কেউ মুক্তিযোদ্ধা কথাটি লিখত না। কারণ তখন তো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের নয় স্বাধীনতাবিরোধীদের সরকার ক্ষমতায় ছিল।’

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads