দেশে এখন অনেক ভালো সিনেমা নির্মাণ করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব সময় সিনেমা দেখতে পারি না। তবে বিমানে যাতায়াতের সময় সিনেমা দেখি। ওই একটাই সুযোগ, নিরিবিলি দেখি। এর বাইরে তো সময় পাই না। সারা দিন মিটিং আর ফাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪১তম আসরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি। সমাজে অনেক মেসেজ পৌঁছানো যায় এর মাধ্যমে। দেশের ও সমাজের ভালোর জন্য অনেক ভূমিকা রাখতে পারে চলচ্চিত্র। একটা সময় সিনেমা দেখা বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। এখন মানুষ আবারো সিনেমা দেখছে। এটা আনন্দের খবর।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে- এমন বিষয় সিনেমায় তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। এই এফডিসি আর চলচ্চিত্র শিল্প আমার বাবার হাতে তৈরি করা। তাই বিশ্বমানের চলচ্চিত্র বেশি বেশি বানাতে যা যা করা দরকার, সবই আমি করব।’
এদিন সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসেই ২৫টি বিভাগে মোট ৩১ জন বিজয়ীর হাতে ক্রেস্ট, মেডেল ও চেক তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্য থেকে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়। এবারের আসরে যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা ও ‘মিয়া ভাই’খ্যাত অভিনেতা ফারুক। সেরা সিনেমার পুরস্কার উঠেছে ‘অজ্ঞাতনামা’র প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগরের হাতে। সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন অমিতাভ রেজা (আয়নাবাজি)। সেরা অভিনেতা হিসেবে চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি), অভিনেত্রী হিসেবে যৌথভাবে তিশা (অস্তিত্ব) ও কুসুম শিকদার (শঙ্খচীল) পুরস্কার গ্রহণ করেন।