• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে ২৪ জুলাই

জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) আগামী ২৪ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে

ছবি: সংরক্ষিত

সরকার

ডিসি সম্মেলন শুরু হচ্ছে ২৪ জুলাই

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৮

জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) আগামী ২৪ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন ২৬ জুলাই শেষ হবে।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ জানান, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ জুলাই সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।

তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে মোট ২২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অংশগ্রহণকারী ৫২টি মন্ত্রণালয়ের ১৮টি কার্য অধিবেশন হয়। এবারও সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা অংশ নেবেন। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মাঠ প্রশাসনকে চাঙ্গা রাখা, উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে গতি আনা, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের নীতি ও দর্শনের বাস্তবায়ন এবং পর্যালোচনা, সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতি বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এরই মধ্যে সারাদেশের ডিসিরা তাদের প্রস্তাবনা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও বিভাগীয় কমিশনারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনাররাও অংশ নেবেন।

জানা গেছে, অতীতের ন্যায় এবারের ডিসি সম্মেলনেও সরকারের পক্ষ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, গ্রামের মুরুব্বি, নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী, নারী সংগঠক, আনসার-ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ, এনজিও কর্মীসহ সমাজের সবাইকে সম্পৃক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।

এছাড়াও সরকারি সেবা গ্রহণে সাধারণ মানুষ যাতে কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখা, তৃণমূল পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। যাতে মানুষ শহরমুখী না হয় এবং ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমানো যায়।

এর আগে ২০১৭ সালের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ৩৪৯টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডিসিরা। এর মধ্যে ১৫০টি স্বল্পমেয়াদি, ১৩২টি মধ্যমেয়াদি এবং ১৪৭টি দীর্ঘমেয়াদি মোট ৪২৯টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads