• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

আজ শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান

ছবি: বাসস

সরকার

ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৮

ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থে হলে, সে রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না।

তিনি বলেন, ব্যক্তিস্বার্থে যারা রাজনীতি করে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না। আর রাজনীতি যদি হয় জনস্বার্থে, জনগণের কল্যাণে, জনগণের মঙ্গলে; তাহলে দেশকে কিছু দেওয়া যায়। তা আমরা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে, বিএনপি’র ওপর জনগণের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। কারণ তাদের শাসনামলে অর্থাৎ ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত মানুষ হত্যা থেকে শুরু করে সীমাহীন দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চলছিল।’

তিনি বলেন, যারা অতীতে লুটপাট করেছে, ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসলে আবারও তারা লুটেপুটেই খাবে এবং শুধু নিজেদের ভাগ্য গড়বে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধে ২০০১ -২০০৬ মেয়াদে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন, বাড়ি ঘর লুটপাট এবং ২০১৩ সালে সন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও এবং নির্বাচন প্রতিহত করার নামে প্রিসাইডিং ও সকারী প্রিসাইডিং অফিসার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়ে সেই আগুনে ফেলে বিদ্যুতের ইঞ্জিনিয়ার হত্যা এবং ২৭ জন আইন-শ্খৃলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে হত্যার অভিযোগ করেন।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাওসারও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

১৯৯৪ সালের এই দিনে প্রতিষ্ঠার পর আজ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪ বছর পূর্ণ হল। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এই দিনটি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা মুহুর্মুহু করতালি এবং শ্লোগানের মাধ্যমে জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে তাঁর সরকারের সাফল্যগাঁথা ও অর্জনসমূহ জনগণের কাছে তুলে ধরে আগামী সাধারণ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সংগঠনকে তৃণমুল পর্যায় থেকে আরো সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদেরকে শৃংখলার সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং বিগত সাড়ে নয় বছরে তাঁর সরকারের অর্জনগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।’

তাঁর দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জনগণকে উন্নয়নের কথাগুলো বার বার বলতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরতে হবে। কারণ সুখ পেলে জনগণ দুঃখের (অতীত স্মৃতি) কথা ভুলে যায়।’

১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই ধানমন্ডির একটি বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে সপরিবারে বন্দি থাকার সময় জয় জন্মগ্রহণ করেন উল্লেখ করে সে দিনের কথা অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘২৭ জুলাই দিনটি আমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে যখন বন্দি ছিলাম তখনই আমার প্রথম সন্তান জয় জন্মগ্রহণ করে। আজকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সঙ্গে জয়ের জন্মদিন এক হয়ে গেছে। এজন্য আমার দোয়া ও আশির্বাদ সকলের জন্য।’

আমেরিকায় তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের পর হত্যার ষড়যন্ত্র করার জন্যও প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অভিযুক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) দুর্নীতির মাধ্যমে এতটাকা বানিয়েছিল যে, আমেরিকার যে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’র একজন অফিসারকে তারা কিনে ফেলল, জয়কে অপহরণ এবং হত্যা করার জন্য। যা আবার ধরা পড়লো সেই এফবিআই’র হাতে।

তিনি বলেন, বিএনপির যে নেতা এই কাজ করেছিল সে ধরা পড়ার পর তার বিচার হলো এবং সেখানে সেই নেতার শাস্তি হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সেই মামলার রায়ে বেরিয়েছে- খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান এবং তথাকথিত বৃদ্ধিজীবী শফিক রেহমান অর্থ-পরামর্শ দিয়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, এই বিষয়ে এই দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads