• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত

সরকার

উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পথ ধরে একদিন বাংলাদেশের চন্দ্রবিজয়ের স্বপ্নও বাস্তবে রূপ নেবে বলে মনে করেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ উদযাপন এবং জয়দেবপুর ও বেতবুনিয়ায় ‘সজীব ওয়াজেদ উপগ্রহ ভূকেন্দ্রে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা সমগ্র বিশ্ব সম্পর্কে জানতে পারছি এবং আমাদের সন্তানরা মহাকাশবিজ্ঞান, পরমাণু প্রযুক্তি, সমুদ্রবিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্র, সংস্কৃতি ও প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে, যা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের ১৪ জুন এই বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু এবং তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা এখন মহাকাশ জয় করেছি। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের বেতবুনিয়াতে এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি দিয়ে গেছেন। আর সজীব ওয়াজেদ জয় তার পরামর্শ এবং উদ্যোগে আমরা মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয়েছি। কাজেই সেই মুজিব থেকে সজীব- সেখানেই আমরা পৌঁছেছি।’

গত ১২ মে ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট এবং পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে পরমাণু ক্লাবের ৩৪তম সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ তার কার্যক্রম শুরু করেছে। এই দুটি ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহীতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হলো। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গাজীপুরের তেলীপাড়ার ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশন এবং রাঙামাটির বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যাকআপ গ্রাউন্ড স্টেশন হিসেবে ব্যবহূত হবে।

বাংলাদেশের চাঁদে যাওয়ার স্বপ্নও একদিন বাস্তবায়ন হবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাও একদিন চাঁদের দেশে চলে যেতে পারব। আগে চাঁদের দেশের স্বপ্ন দেখতাম। এখন চাঁদের দেশে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। আজকে বিশ্বটা আমাদের হাতের মুঠোয়।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে দোয়া চাই। দোয়া করবেন যাতে দেশ ও জাতির সেবায় আমরা সব সময় নিয়োজিত থাকতে পারি।’ আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের সেবায় কাজ করে। জনগণের সেবায় কাজ করে যাবে। জনগণের কল্যাণই আমাদের একমাত্র চিন্তা।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটে থাকছে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার সক্ষমতা। প্রতিটি ট্রান্সপন্ডার প্রায় ৩৬ মেগাহার্টজ বেতার তরঙ্গের সমপরিমাণ। অর্থাৎ ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থেকে পাওয়া যাবে প্রায় এক হাজার ৪৪০ মেগাহার্টজ পরিমাণ বেতার তরঙ্গ। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। আর ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।

ডাকটিকেট অবমুক্ত : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণকে স্মরণীয় করে রাখা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগ প্রকাশিত ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড এবং একটি খামও অবমুক্ত করেন তিনি। বাসস, বিডিনিউজ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads