• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপন উদযাপণ ও উপগ্রহ ভূকেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি-বাসস

সরকার

বিএনপি সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় : প্রধানমন্ত্রী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সুস্থধারার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা শুধু জানে কীভাবে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি করা যায়। তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তারা সন্ত্রাস করে আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় হতাহত ২৫ জনের পরিবারের কাছে সঞ্চয় সার্টিফিকেট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিশাল ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এ হামলার কয়েকদিন আগে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আমি ভবিষ্যতে আর কখনো প্রধানমন্ত্রী, এমনকি বিরোধীদলীয় নেতাও হতে পারব না। বেগম জিয়ার এ বক্তব্যের পরই এ হামলা হয় এবং এ থেকে বোঝা যায় এই অপরাধে কে জড়িত। শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ও ৮৪ কেজি ওজনের দুটি বোমা পুঁতে রাখার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যখনি এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া হলো তখনি আমার জীবনের ওপর হামলা হলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। যখনি তারা এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছিল, তখনি আমরা বুঝতে পেরেছিলাম আমাদে আওয়ামী লীগ এবং দলের অঙ্গসংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত এবং পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। তাদের অনেকেই এখন দুর্বিষহ জীবন বয়ে বেড়াচ্ছেন। এই হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও উপর্যুপরি গ্রেনেডের শব্দে তিনি তার শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর হামলাসহ সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে দলের কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা যখন একটি সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করছিলাম, ঠিক তখনি সন্ত্রাসের শিকার হলাম। ঘাতকরা প্রকাশ্য দিবালোকে এ ধরনের অপরাধ করতে আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। তিনি বলেন, ঘাতকরা ১৩টি গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হন। শত শত নেতাকর্মী আহত হন। মেয়র মো. হানিফসহ দলের নেতাদের সৃষ্ট মানবঢালে আমি প্রাণে বেঁচে যাই। শেখ হাসিনা বলেন, এ হামলার পর থেকে তার ও দলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাধ্যমতো সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমি যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন তাদের সহায়তা দিয়ে যাব। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন হিসেবে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা যেকোনো দুঃসময়ে দলের পাশে আছে এবং থাকবে। বাসস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads