• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘ধৈর্যের সীমা ছাড়ালে ব্যবস্থা’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

‘ধৈর্যের সীমা ছাড়ালে ব্যবস্থা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে তুলতে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। ধৈর্য মানে উদারতা, দুর্বলতা নয়। আমাদেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। সেটা অতিক্রম করলে আমাদের ব্যবস্থা আমরা অবশ্যই করব। গতকাল রোববার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০১৮’-এর উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করা হলে তা বরদাশত করা হবে না বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোমলমতি ছাত্ররা যা করছিল আমরা তাতে বাধা দেইনি। দেখতে চেয়েছি তারা কী করে। কিন্তু এখন দেখছি এর ভেতরে রাজনীতি ঢুকছে। তাদের ‘নয়টা দাবি ছিল, নয়টা দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে কামাল বলেন- ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস সেটাও প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। দেশের মানুষ ধারণা করেছিল দাবি মেনে নেওয়ার পর গত বুধবারই তারা (শিক্ষার্থীরা) সরে যাবে। কিন্তু তারা দেখছি পেয়ে বসেছে। পরে ষড়যন্ত্র দেখলাম। নেপথ্যের ইন্ধনদাতাদের মুখোশ উন্মোচিত হলো।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইন না মানার সংস্কৃতির কারণে সড়কে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। ছেলেমেয়েদের আন্দোলন যৌক্তিক বলেই প্রধানমন্ত্রী দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিয়েছেন।

ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ট্রাফিক আইন পালনে স্কাউট, শিক্ষার্থী, মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নসহ সর্বস্তরের সহযোগিতা চেয়েছেন।

আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পরিবহন খাতে অরাজকতা ট্রাফিক সমস্যার প্রধান কারণ। তাই পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। ‘দায়িত্ব পালনকালে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ যোগ করেন পুলিশ প্রধান।

পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, ৫ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০১৮’ চলবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আকস্মিকভাবেই ট্রাফিক সপ্তাহর আয়োজন করা হয়। এ সময় ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে চালানো হবে ট্রাফিক আইন মানার অনুরোধ সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও সচেতনতার প্রচার। এ উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে ট্রাফিকের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক ব্যানার-ফেস্টুন টানানো হয়েছে। প্রচার করা হচ্ছে লিফলেট। গাড়িতে গাড়িতে লাগানো হচ্ছে সচেতনতামূলক স্টিকার।

এদিকে ট্রাফিক সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ গতকাল রোববার থেকেই রাজধানীতে লক্ষ করা গেছে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা। রাজধানীর কাকরাইল, মালিবাগ, গুলিস্তান, ফকিরেরপুল, মতিঝিল, আরামবাগ, শাহবাগ, বাংলামোটর, ফার্মগেটসহ অর্ধশত পয়েন্টে দুপুর থেকে ট্রাফিক চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স তল্লাশি করা হয়। কাগজপত্র এবং দিন-তারিখ ঠিক না থাকলে মামলা/জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জনসাধারণকে সতর্ক করছে ট্রাফিক পুলিশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads