• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী

অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার

# দ্রুত প্রকল্প অনুমোদনের তাগিদ # এফডিআই আসবে ৮০০ কোটি ডলার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী অক্টোবরে ছোট আকারের একটি সরকার গঠন করা হবে। এ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের কলাকৌশল নির্ধারণে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা জানান। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় নির্বাচনকালীন সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবে না। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে এর আগেই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন কাজ শেষ করতে হবে।

রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে চলতি এডিপি বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ, নতুন প্রকল্প নির্দিষ্টকরণ ও অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ধারণা দিতে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সব বিভাগের সদস্য এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। চলতি অর্থবছরে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়বে বলে সভায় আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আগামী অক্টোবরের যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ছোট সরকার গঠন হবে। তখন শুধু দৈনন্দিন কাজ করা যাবে। নীতি নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না সেই সরকার। এ জন্য নির্বাচনী সরকার গঠনের আগেই নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু প্রকল্প নিলেই হবে না। বাস্তবায়নের সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে হবে। এ বিষয়ে সচিবদের ধারণা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুস্তফা কামাল। ব্রিফিংয়ে তিনি আরো বলেন, যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের বছরে তার আগের বছরের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়নের হার কম। চলতি অর্থবছর এ ধারা থেকে বের হয়ে আসতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ জন্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।

অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি তুলে ধরে পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এফডিআই আসেনি। তবে এবার ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। চলতি অর্থবছর ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি ডলারের এফডিআই আসতে পারে বলে জানান তিনি।

সভায় জানানো হয়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছর এডিপিতে বরাদ্দ থাকলেও অনুমোদন ছাড়াই ৭৭টি প্রকল্প রয়েছে। অনুমোদন কাজ শেষ না হলে এসব প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এ অবস্থায় এসব প্রকল্পের অনুমোদনের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে সভায়।

মেয়াদোত্তীর্ণ ১৫০টি প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৫টি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভায় অবশিষ্ট ৮৫টি প্রকল্পের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads