• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
সিটি নির্বাচনগুলোই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার প্রমাণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

সিটি নির্বাচনগুলোই সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার প্রমাণ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ায় এটাই প্রমাণিত হয় যে, দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রয়েছে এবং গণতন্ত্র শক্ত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রাজশাহী ও সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়র-কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ সিটি নির্বাচনগুলোতে নিজস্ব পছন্দের প্রার্থী, সরকারি এবং বিরোধীদলীয় সদস্যকে অবাধে ভোট দিতে পেরেছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক এলাকার মানুষ অবাধে তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।’

প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর এবং এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন কাউন্সিলরদের শপথবাক্য পাঠ করান। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রাজশাহী ও সিলেটের রাজনৈতিক নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহীর মেয়র ও ৪০ জন কাউন্সিলর এবং সিলেটের মেয়র ও ৩৬ জন কাউন্সিলর এ বছর ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নির্বাচিত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আর সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল বলেই এই উন্নয়ন সম্ভবপর হয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের লড়াই-সংগ্রাম তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তারা তাদের ইচ্ছামতো প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাচ্ছে। দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত ১০ বছর দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় ছিল বলেই বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নয়ন সাধন করেছে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে দিন বদলের অঙ্গীকার নিয়েই তার সরকার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে। আজ আপনারা সেই দিন বদল নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন, জনগণ ক্ষুধা থেকে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ এবং এই উন্নয়নের ধারাকে টেকসই রূপ দিতে তার সরকার ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান-২১০০’ নামে আগামী একশ বছরের পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সিলেটে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার কখনোই কোনো রাজনৈতিক ভিত্তিতে স্থানীয় সরকারের বাজেট বরাদ্দ করে না। অতীতে তার সরকার রাজশাহী ও সিলেট সিটির জন্য ব্যাপক বরাদ্দ দিয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, কে কোন দলের মেয়র সেটা চিন্তা না করে জনগণের কল্যাণের কথাটাই সরকার আগে চিন্তা করে। ভোট জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, আর এই সাংবিধানিক অধিকারের যথাযথ প্রয়োগের ওপরই গণতন্ত্র নির্ভরশীল। আর আমরা জনগণের এই অধিকারকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো মূল্যেই তাদের এই অধিকারকে রক্ষা করা হবে, বলেন তিনি।

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবেন- এ আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের শুধু নিজেদের সম্পদ গড়ে তোলায় মনোনিবেশ করলেই চলবে না, জনগণ কীভাবে সম্পদশালী হতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখেই কাজ করতে হবে। নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে সরকার কোনো ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বরদাশত করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।’ বাসস

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads