প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার কিংবা গ্রহণ করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে এই সাক্ষাতকার দেন তিনি। বুধবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে শহিদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের বাসিন্দা।আমরা তাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছি না।’
মানবিক এই সংকট মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘অন্যান্য দেশ কিংবা মিয়ানমার তাদের না নেওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা শিবিরেই থাকতে হবে তাদের।’ ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তিতে রাজি হলেও এখনো রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি। এদিকে এখনো মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। শহীদুল হক বলেন, ‘কয়েক মাসের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে ভাসনচরে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সেটা অস্থায়ী।’
২০১৭ সালের আগস্টে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রাখাইনে গণহত্যা, ধর্ষনের মত মানবতাবিরোধী আচরন শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এক বছরেও মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। এখনো আশার আলো দেখার মতো, নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো অবস্থায় নেই বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ। তারও আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছেন আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সম্প্রতি জাতিসংঘ জানিয়েছে, বাংলাদেশে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দশ লাখের বেশি। বাংলাদেশ সরকারের দাবি, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি।
