• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
প্রতি উপজলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

প্রতি উপজলায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ গড়ে তোলা হবে : প্রধানমন্ত্রী

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দর আগামীর জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু করা হয়েছে।’
এছাড়া ৪টি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা আজ সকালে গণভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২২তম জাতীয় কনভেশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কি পেলাম, কি পেলাম না, তার চিন্তা না করে আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের দেশকে আগে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বছর আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে, ’৭৫ থেকে ’৯৬-২১ টি বছর হারিয়ে গেছে। যে সময়টা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোন উন্নতিই হয়নি। উন্নতি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের এবং তাদের ঘিরে থাকা মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর। বৃহৎ জনগোষ্ঠী কিন্তু বঞ্চিতই ছিল।

সরকার প্রধান বলেন, এই বঞ্চিত মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেয়াই আমি মনে করি আমার দায়িত্ব।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি তাই একে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই আমরা গড়ে তুলবো।

আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী একেএমএ হামিদ অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে কাকরাইল আইডিইপি ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণ কাজ এবং ভবনটির সম্মুখে রক্ষিত স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্যেও উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে একজন মরনোত্তরসহ তিনজনকে এ বছরের আইডিইবি স্বর্ণপদক প্রদান করেন।

স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন- আব্দুল কাদের সরকার, সৈয়দ উদ্দীন আহমেদ ওরফে চলচ্চিত্র নির্মাতা ছোটকু আহমেদ এবং মরহুম মো. সফর আলী মিয়া (মরনোত্তর)।
স্বর্ণপদক প্রাপ্তরা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে পদক, ত্রেস্ট ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এবং মরহুম সফর আলী মিয়ার পক্ষে তার বড় ছেলে এটিএম মোজাহারুল হোসেন পদক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী পরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসসদস্যবৃন্দ, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, বিদেশি কূটনিতিক এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সারাদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন আইডিইবি’র তিনদিন ব্যাপী ২২ তম জাতীয় কনভেনশন উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads