• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ দিতে চুক্তি

ছবি: পিআইডি

সরকার

সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ দিতে চুক্তি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সরকারি চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ সুদে ঋণসুবিধা দিতে রাষ্ট্রয়ত্ত চার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের (বিএইচবিএফসি) সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার।  সরকারি চাকরিজীবীরা চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। প্রচলিত বাজার দরে সুদের হারের সঙ্গে সমতার জন্য ৫ শতাংশের অবশিষ্ট সুদ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে দেওয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনীতি) জাফর উদ্দিন এবং বাস্তবায়নকারী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেন।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আবাসন আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আমরা খাদ্য ভাল অবস্থানে আছি, শিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি করেছি। স্বাস্থ্য খাতে খুব বেশি স্বীকৃত না হলেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে কমিউনিটি হাসপাতালগুলোর মাধ্যমে।”

আবাসনে অনেক পিছিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এখন আবাসনে জোর দেওয়া হচ্ছে। আবাসন ১০০ ভাগ করতে সময় লাগবে। এখন দেশে ৬০ শতাংশের আবাসন আছে বাকিরা ঝুপড়ি-টুপরিতে থাকে। তবে এটাও লক্ষণীয় যখন এরাপ্লেনে ঢাকায় এসে নামি, তখন সিলভার ব্যাপকতা (টিন) দেখা যায়, এর থেকে বুঝা যায় সর্বব্যাপী উন্নয়ন হয়েছে, শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সারাদেশে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।”

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আগামী ১ অক্টোবর থেকেই ঋণের জন্য আবেদন করা যাবে। সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বেতন-ভাতা তোলার ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা আগে ঋণের আবেদন করতে পারবেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) থেকে এই ঋণ নেওয়া যাবে।
গত ৩০ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং-ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে অর্থ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি কর্মচারীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। এক্ষেত্রে ৫৬ বছর বয়সী কর্মচারীরাও আবেদন করতে পারবেন। ঋণ পরিশোধের সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads