• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
টিভি চ্যানেলগুলোকে দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

টিভি চ্যানেলগুলোকে দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে মুনাফার পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে শিক্ষামূলক সম্প্রচারে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণ মনোরঞ্জনের জন্য যে টেলিভিশন দেখে সেটাকে শিক্ষার একটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে তার নিজের উন্নয়ন এবং সমাজ বিনির্মাণেও ব্যবহার করা যায়। সবাই সবার লাভের বিষয়টা দেখবে, কিন্তু সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধটাও গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই বেশি বেশি শিক্ষামূলক সম্প্রচারে যেতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার তার তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (এটিসিও) নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। পাশাপাশি আমরা দেশকে যেকোনো অপশক্তির কবল থেকে দূরে রাখতে চাই। গণমাধ্যম বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ক্রীড়ার বিকাশে ভূমিকা রেখে এক্ষেত্রে কার্যকরী অবদান রাখতে পারে।

খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আলোকিত সমাজ বিনির্মাণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব চ্যানেলে এই সব অনুষ্ঠান বেশি বেশি সম্প্রচার করা হলে মানুষের নানা বদ অভ্যাসেরও পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেন, যত বেশি এগুলোর সম্প্রচার হচ্ছে মানুষের মধ্যেও পরিবর্তন আসছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। এটিসিও’র চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, পরিচালক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সিনিয়র সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের নাজমুল হাসান পাপন এমপি এ সময় এটিসিও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন্নাহারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস বিশ্বব্যাপীই একটা সমস্যা যদিও এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে এই জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এর ওপর সারাক্ষণ আমাদের নজরদারি রাখতে হচ্ছে কোথাও যেন কোনোরকম এটা মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। দেশকে আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়ন করতে হলে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকা অপরিহার্য বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নটা যদি না হতো তাহলে আপনাদের এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল কিন্তু মানুষ দেখত না। এখন গ্রামের ঘরে ঘরে টেলিভিশন রয়েছে। হাটেবাজারে জনগণ টেলিভিশন দেখছে। কারণ, পেটে ভাত আছে, তারা কাজের সুযোগ পাচ্ছে, অর্থনৈতিকভাবে তারা স্বাবলম্বী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় ’৯৬ পরবর্তী তার সরকারের বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সে কারণেই তার সরকার এখন ৪১টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে অনুমতি প্রদান করেছে এবং ৩০টি চ্যানেল এখন সম্প্রচারে রয়েছে। জাতির পিতা আমাদের দেশ দিয়ে গেছেন এবং এই দেশকে গড়ে তোলাই এখন আমাদের দায়িত্ব উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোর উদ্দেশে বলেন, আমার এই কথাটা সবার কাছে পৌঁছে দেবেন যে, মানুষকে একটা কথা চিন্তা করতে হবে- সবকিছুতে সরকারের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এটিসিও নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-২০১৮’ নিয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এটি কোনো বাধার সৃষ্টি করবে না। এ সময় উপস্থিত নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। প্রেস সচিব বলেন, এটিসিও নেতারা এ সময় অনলাইন মিডিয়াগুলোকে একটি জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাগিদ দেন। বাসস

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads