প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেনের বিএনপি’র সঙ্গে ঐক্য গড়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এটি খুনী এবং সুবিধাবাদীদের মঞ্চ। ড. কামাল হোসেন যিনি নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী দাবি করেন তিনি খুনীদের সঙ্গে ঐক্য করেছেন। তিনি তারেক জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন যার বাংলাদেশের জনগণের কাছে কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আজ রোববার বিকেলে কাঠালবাড়ি ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আজ সকালে পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে আজ অপরাহ্নে মাদারিপুরের শিবচরে এসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা অগ্নি সন্ত্রাস করে এবং মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, যারা মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী আজকে তাদের সাথে দেখলাম ঐক্য করেছেন তিনি, যিনি নিজেকে একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী দাবি করেন। সেই কামাল হোসেনের সঙ্গে আরো জুটেছে কিছু খুচরা আধুলি- এরা সব ঐক্য করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি কামাল হোসেন সাহেবকে বাহবা জানাই যিনি বড় বড় কথা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তিনি আজকে ঐক্য করেছেন কার সঙ্গে যে বিএনপি-জামাত জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আজকে তাদের সাথেই তিনি ঐক্য করেছেন। এ সময় তারেক জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে ড. কামালকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ঐক্য করে নেতাও মেনেছেন!
আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সময় একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করায় পুনরায় বিএনপি’র কঠোর সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া জেলে যাবার পর বিএনপিতে কি একটা লোকও ছিল না যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বানোনো যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, যে মানি লন্ডারিং মামলা, ১০ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক হিসেবে বিদেশে রয়ে গেছে, তাকেই বিএনপি বানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আর সেই চেয়ারম্যানেরই অধীনে ড. কামাল হোসেন গং আজ ঐক্য করেছেন।
সরকার প্রধান বলেন, বড় বড় নীতির কথা বলেন যারা তারাই আজকে ঐ খুনীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। তারা মরা গাঙ্গে যোগ দিয়েছেন- আজকে কামাল হোসেন, মান্না, আসম আব্দুর রবরা। তারা কিই বা করতে পারবেন বা কি করতে চান? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং মুহম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ এবং আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সম্পাদক ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, নূরে আলম চৌধুরী লিটন এমপি সমাবেশে বক্তৃতা করেন। আর শিবচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শামসুদ্দিন খান সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।