• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র না করতে বিএনপির প্রতি আহবান

আজ বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি: পিআইডি

সরকার

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র না করতে বিএনপির প্রতি আহবান

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকার জন্য বিএনপির প্রতি আহবান জানিয়ে বলেছেন, তারা এই অপচেষ্টা করলেও সফলকাম হতে পারবে না। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় গত বুধবার রাজধানীতে বিএনপির সন্ত্রাসীদের পুলিশের ওপর হামলা এবং তাদের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের কঠোর সমালোচনা করে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে জনগণকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, কাজেই আমি তাদেরকে বলতে চাই তাদের প্রচেষ্টা এমন হওয়া উচিত যাতে করে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হতে পারে, তাদের এটি বানচালের ষড়যন্ত্র করা উচিত নয়।’

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার প্রারম্ভিক ভাষণে এ কথা বলেন।

বিএনপি ২০১৪ সালেও নির্বাচন বানচালে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করলেও সফল হতে পারেনি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও তারা সফল হতে পারবে না। কারণ, জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাদের ভোট, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে বিএনপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপির যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস এবং মানুষকে বোমা মেরে পুড়িয়ে মারার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানাব। কারণ, জনগণের ভোট, গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক অধিকারকে নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।’

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তার দল সবসময়ই জনগণের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের অধিকােেক সমুন্নত করার জন্য আমরা সবসময়ই জনগণের পাশে রয়েছি এবং থাকবো।’

গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে হবে এবং এর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে আরো উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।’

গতকাল রাজধানীর বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপির সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের আগে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির এরকম পরিবেশ ভাল লাগেনি এবং তারা এরমধ্যে পানি ঢেলে দিয়েছে। আমরা গতকাল সেরকমটাই দেখেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন বিএনপি নেতা সে সময় হঠাৎ একটি মিছিল নিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে হাজির হলো, যেটা তাদের করার কথা নয় এবং তারা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করলো এবং তাঁদের তিনটি গাড়ি পুড়িয়ে দিল।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারো আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে যেমনটি তারা ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে করেছিল। এই দলটি আগুন সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছু যে পারে না এই ঘটনাই সেটার প্রমাণ।’

‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, দেশের জনগণ যখন উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঠিক সে সময়ই বিএনপি পুণরায় তাদের স্বরূপে আবির্ভূত হল,’ বলেন তিনি।

গতকালের ঘটনার দায় ছাত্রলীগের ঘাড়ে তুলে দেয়ার অপচেষ্টা করছে বিএনপি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের দায় অপরের কাঁধে চাপাতে দলটি খুবই পারঙ্গম।

তিনি বলেন, ‘যখন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বিএনপির সন্ত্রাসিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তখন বিএনপি নেতৃবৃন্দ তড়িঘড়ি বিবৃতি দিল ছাত্রলীগই এই ঘটনার জন্য দায়ী তারাই পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন তাহলে কি ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কর্মীরা সে সময় ও বিএনপি অফিসের সামনে উপস্থিত ছিল? আর তারা সেখানে যাবেই বা কেন?

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads