• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের সেবা করার সঙ্কল্প প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের সেবা করার সঙ্কল্প প্রধানমন্ত্রীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০১৮

জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জনগণের সেবা করার এবং আগামী প্রজন্মের জন্য দেশকে বাসযোগ্য করে যাওয়ার সঙ্কল্প ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এই সঙ্কল্প ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলার পথ কখনই মসৃণ ছিল না, কণ্টকাকীর্ণ ছিল, তবুও আমরা এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের মতো করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। আমি চাই আগামীর বাংলাদেশ হবে সুন্দর, উন্নত ও সমৃদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করব না। যুদ্ধ করতে আমরা চাই না। কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের যে সশস্ত্র বাহিনী হবে সেটাকে স্বাধীন দেশের উপযুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের যুদ্ধ দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে। দেশে দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪০ ভাগের ওপর থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। এই দারিদ্র্যের হারকে আরো অন্তত পাঁচভাগ নামিয়ে বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব, সে বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। এ সময় আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দেয় তাহলে আবার ক্ষমতায় আসব। আর যদি নাও আসি তুবও আফসোস নেই। কারণ বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিতে পেরেছি তার থেকে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। যারা দেশের জন্য কাজ করবেন তারা যেন সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারেন, স্বস্তিতে করতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করব, ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। ইনশা আল্লাহ তখন বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করেই আমরা গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তিন বাহিনী প্রধানরা,  স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদাসহ বিদেশি কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। বাসস

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads