• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা ২৬তম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা ২৬তম

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮

বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম অবস্থানে আছেন। গত বছরে তিনি এই তালিকার ৩০তম অবস্থানে ছিলেন। এবার তার অবস্থানের চার ধাপ উন্নতি ঘটেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ-বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী ফোর্বস প্রতিবছর বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করে। মঙ্গলবার ২০১৮ সালে ফোর্বস ক্ষমতাধর নারীদের যে তালিকা করেছে, তাতে শেখ হাসিনা ২৬তম স্থানে আছেন।
ফোর্বসের ২০১৬ সালের তালিকায় শেখ হাসিনা ৩৬ নম্বরে ছিলেন। আর ২০১৫ সালে ছিলেন ৫৯তম অবস্থানে। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর শেখ হাসিনার উন্নতি ঘটেছে।
তালিকায় থাকা প্রথম ১০ জনের মধ্যে ম্যার্কেলের পরেই রয়েছেন যথাক্রমে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লেগার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের মোটরযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যারি বারা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফিডেল্টি ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী অ্যাবিগেইল জনসন, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ার ও মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস, ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুসান ওজিস্কি, স্পেনভিত্তিক বহুজাতিক বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বানসো স্যান্টেন্ডারের চেয়ার ও নির্বাহী পরিচালক অ্যানা প্যাট্রিসিয়া বোটিন, যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের প্রধান নির্বাহী মেরিলিন হিউসন এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএমের প্রধান নির্বাহী জিমি রোমেটি।

শেখ হাসিনাকে ফোর্বসের তালিকায় স্থান দেওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় এবং তাদের জন্য ২ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। তিনি বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ভার বহন করতে পারবে না।
২০১৮ সালের তালিকায় শীর্ষস্থানটি ধরে রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। তার পরের অবস্থানে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড, চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মোটরসের চেয়ারপারসন ও সিইও মেরি বারা, পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের সিইও আবিগেইল জনসন।
ফোর্বস-এর তালিকায় শেখ হাসিনার আগে ২৫তম অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জেনারেল ডাইনামিকসের প্রধান নির্বাহী ফেবে নোভাকোভিচ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads