• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
১০ জানুয়ারির আগেই সরকার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সরকার

১০ জানুয়ারির আগেই সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০১৯

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আগেই সংসদ সদস্য ও নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচনপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি আগামী ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপনে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন বছরের অঙ্গীকার হচ্ছে এ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের যে ভুল-ভ্রান্তি ও সাংগঠনিক দুর্বলতা বুঝতে পেরেছি তা কাটিয়ে ওঠা।

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশা করি তারা জনগণের রায়কে অসম্মান করবেন না। কারণ যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি দলের কী আহ্বান থাকবে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ধৈর্য ধরে বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। কেউ যাতে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি না করে ও প্রতিপক্ষের ওপর প্রতিহিংসামূলক কোনো কিছু না করে সে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তা আর কখনো দেখা যায়নি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। আমি অবাক হয়েছি যে, বিএনপির মতো একটি বড় দলের সাংগঠনিক কোনো কাঠামো নেই। তারা সাংগঠনিকভাবে যে কতটা দুর্বল তা এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, এজন্য বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরাও এজেন্ট দিতে পারেননি। নির্বাচনে তাদের ভোটের এমন ফলাফল হয়েছে। বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ নিজের কেন্দ্রে তার ভোট দিতে যাননি। তার বাড়ি থেকে মাত্র ৭০ গজের মধ্যে ভোটকেন্দ্র। যদিও তিনি তার কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন।

কাদের বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা কোথাও তাদের পোস্টার-ব্যানার লাগাননি। তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাস্তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো তাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না। তাই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল অবধারিত।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতাদের ভুলের জন্যই নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হয়েছে। মনোনয়নবাণিজ্য, এজেন্ট দিতে না পারা ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না নেওয়া এ ভরাডুবির প্রধান কারণ। তারা নির্বাচনের নামে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য নানা নাটক করেছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরও তারা কোনো ধরনের আন্দোলন করতে পারেননি। বিএনপি তাদের ভাঙা হাট নিয়ে আন্দোলনের সক্ষমতা অর্জন করবে- এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐকমত্যের সরকার হবে, না তারা বিরোধী দল হিসেবে থাকবে- তা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকার গঠনের সময় বিষয়টি দেখবেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।

তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট সব সময় গণতন্ত্রবিরোধী ভূমিকা পালন করবে তা দেশের মানুষ যেমন মেনে নেবে না, তেমনি বিশ্বের অন্যান্য নেতারাও তা মেনে নেবেন না। আর তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র থেকে পিছিয়ে পড়লে দেশ পিছিয়ে যাবে।

এ সময় তিনি ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ওইদিন সকাল ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। একই দিন বেলা ৩টায় ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads