• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
‘যতদিন বাঁচব মানুষের সেবা করে যাব’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

‘যতদিন বাঁচব মানুষের সেবা করে যাব’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০১৯

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তার দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অব্যাহতভাবে তাদের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের সেবা করাটা একটি বড় কাজ এবং আমি যত দিন বেঁচে থাকব এটা অব্যাহত রাখব।

গতকাল বুধবার বিকালে গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে আসা বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের পরে দেশ ও জনগণের প্রতি আমার দায়িত্বটা আরো বেড়ে গেছে। এ সময় তিনি জনগণের আশা এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করে যাওয়ারও অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ স্কাউটস এবং গার্ল গাইড অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা, উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। খবর বাসস

শেখ হাসিনা বলেন, রোববারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় সব সম্প্রদায় এবং শ্রেণি-পেশার জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। সমাজের সর্বস্তরের জনগণ আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য সর্বান্তকরণে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল এবং এ জন্য আমি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সবার সহযোগিতা কামনা করেন। শেখ হাসিনা তার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ এবং মাদকবিরোধী অনড় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের জঞ্জালের কোনো স্থান হবে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে আগত বিভিন্ন সংস্থার সদস্য এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জানান।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করায় গত মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিকরা গণভবনে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে এলে তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে, সুন্দর দেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধী এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির কোনো ঠাঁই নেই এবং দেশ কেবল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাতেই এগিয়ে যাবে- এটাই বাস্তবতা। আর আমরা এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সেই সম্মতিই লাভ করেছি।

মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক, গায়ক-গায়িকা, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার জনগণ নৌকার বিজয়ের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন, যে কারণেই এ বিজয়।

আওয়ামী লীগের এই বিপুল বিজয়ে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ যেমন- কবি, শিল্পী থেকে সাহিত্যিক এমনকি সাধারণ জনগণের পর্যন্ত আগ্রহ ছিল, নৌকা যেন জয়লাভ করে। তিনি বলেন, আমি সমগ্র দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং আমি আশা করি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সামনে এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আমি সবার সহযোগিতা চাই যাতে করে দেশের প্রগতি এবং উন্নয়ন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং সাংস্কৃতিকভাবে আরো এগিয়ে যাব এবং বিশ্বে মাথা উঁঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা অবশ্যই বিনির্মাণে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তোলায় তার দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন যেন এই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলতে পারেন এবং এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমরা এটি অর্জনে সমর্থ হব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads