• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
দশ বছরে যা পেরেছি ২৮ বছরে অন্যরা পারেনি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংরক্ষিত ছবি

সরকার

দশ বছরে যা পেরেছি ২৮ বছরে অন্যরা পারেনি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ জানুয়ারি ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর সরকারের জন্য কঠিন পরীক্ষার সময়। যে যাত্রা শুরু করেছি তা এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সদ্য শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, নমিনেশন ট্রেড এবং অকশন করে তারা জয়ী হবে কীভাবে? জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ ছাড়া আন্দোলনে যারা ব্যর্থ তারা কখনো নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, সিলেটে ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি, যে বেশি টাকা দিয়েছে তাকেই নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ইনাম আহমেদ চৌধুরীকে নমিনেশন দিলে তিনি হয়তো জিততে পারতেন। ধামরাইয়ে আতাউর রহমান খানের ছেলে জিয়াউর রহমান খান নমিনেশন পাবে বলেই ধারণা ছিল। তিনি হয়তো জিততেনও কিন্তু তাকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি, নারায়ণগঞ্জে তৈমুর আলম খন্দকারকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি। এ রকম আরো অনেক জায়গায় তারা যে বেশি টাকা দিয়েছে তাকে নমিনেশন দিয়েছে।

ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতে ইসলামী ২৫ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তারা যুদ্ধাপরাধীদের ভোট দেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য যারাই ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সময়ে এ দেশের মানুষের অনেক ভোগান্তি হয়েছে, তারা অনেক কষ্ট পেয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে দেশ পরিচালিত হয়।

তিনি বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হয়েছি। মাত্র ১০ বছরে আমরা যা পেরেছি, ২৮ বছরেও অন্যরা তা কেন পারেনি? কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। যখনই জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন ক্ষমতায় এসেছে তখনই মানুষের উন্নতি হয়েছে এবং এই উন্নয়ন গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোটে বিজয়ী করায় প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান। বিভিন্ন পেশাজীবী ও ব্যবসায়ীরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে বিপুল এই বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলার মানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরেই এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হতো। জাতির পিতা আজ নেই। কিন্তু তার আদর্শ আছে। আমরা তার আদর্শ অনুযায়ী দেশ গড়ে তুলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর দেওয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন একটি সদ্য স্বাধীন দেশ কীভাবে চলবে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি প্রশাসনিক অবকাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, মহৎ কিছু অর্জনের জন্য মহৎ ত্যাগের প্রয়োজন হয়। দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য বঙ্গবন্ধুর মহৎ আত্মত্যাগ আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। বাংলাদেশ জুড়ে বঙ্গবন্ধু আছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

আলোচনা সভায় নবগঠিত মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সংসদ, আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads