• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আর চাই না প্রধানমন্ত্রিত

সংগৃহীত ছবি

সরকার

ডয়েচে ভেলেকে শেখ হাসিনা

আর চাই না প্রধানমন্ত্রিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শেখ হাসিনা আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ মেয়াদ। নতুনদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চান বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে ডয়েচে ভেলে।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এখন তিন দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী জার্মানিতে অবস্থান করছেন। ডয়েচে ভেলের পক্ষ থেকে প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  বলেন, এটা আমার তৃতীয় মেয়াদ। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হয়েছি (১৯৯৬-২০০১)। সব মিলিয়ে চতুর্থবার। আমি আর চাই না। একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি; যেন তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেওয়া যেতে পারে। সাক্ষাৎকারে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও তার অবস্থান জানতে চাওয়া হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, যত কাজ করবেন, তত সমালোচনা শুনবেন। আপনি আমার দেশের মানুষকে প্রশ² করুন, তারা সন্তুষ্ট কি না; তাদের যা যা প্রয়োজন, সব পাচ্ছে কি না, কিংবা আমি সব দিতে পারছি  কি না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তা নিশ্চিতে পদক্ষেপও নিয়েছেন। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তখন দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল চলত, যা ছিল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমতি দেন।

সম্ভাব্য শেষ মেয়াদে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইকেই অগ্রাধিকার দিতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান- এসব মৌলিক চাহিদা। প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়। আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ বিরোধীদের জন্য রাজনীতির মাঠ সংকুচিত করে রাখা এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তো ক্ষমতায় আসা, সেটা একদলীয় হয় কী করে? আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যে, ২০০৮-এ যে নির্বাচন হয়েছিল, সে নির্বাচনেও ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছিল। এবার তো ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। তখন বিএনপি-জামায়াত জোট পেয়েছিল মাত্র ২৮টি সিট। এবার ইলেকশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৬০টি সিট (৩০০টির মধ্যে)। বাকি সব অন্য দলগুলো পেয়েছে। সেখানে দল তো আছেই।

বিরোধী দলকে দুর্বল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন কোনো দল যদি তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে না যেতে পারে, জনগণের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে না পারে, আর যদি ভোট না পায়, সে দায়-দায়িত্ব কার? সে তো ওই দলগুলোর দুর্বলতা।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যেতে চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভূমিকা রাখতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তিও হয়েছে, তারা ফেরত নিয়ে যাবে। চীন ও ভারতের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে পাঁচটি দেশের সীমান্ত আছে চীন, বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওস, আমরা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি, কীভাবে এই সমস্যা সমাধানে তাদের কাজ করা উচিত।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads