• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
৫০০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে

চারতলা ভবন সম্প্রসারণ করা হবে ১৬ তলা পর্যন্ত

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল

৫০০ শয্যায় উন্নীত হচ্ছে

চারতলা ভবন সম্প্রসারণ করা হবে ১৬ তলা পর্যন্ত

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০১৯

সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবার সুযোগ বাড়ছে। রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের চারতলা ভবন উন্নীত হবে ১৬ তলায়। কেনা হবে চারটি অ্যাম্বুলেন্স, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ছাড়াও ১ হাজার ৭০০ চিকিৎসা সরঞ্জাম। ১৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি জাতীয় অথনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সারা দেশের প্রায় ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর জন্য এটি দেশের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল। কর্মচারী হাসপাতাল হলেও সারা দেশের সব শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি ও তাদের পোষ্যদের উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। বর্তমানে একটি পুরাতন দুইতলা ভবন ও একটি নতুন চারতলা ভবনে হাসপাতালটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন ভবনটি ১৬ তলা ভিত্তির ওপর নির্মিত।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি কর্মকর্ত-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যসহ  সাধারণ জনগণের জন্য আধুনিক ও বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবার সুবিধা সৃষ্টি এবং চিকিৎসা, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিষয়ক কারিগরি শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। এর প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— হাসপাতালটিকে ১৬ তলা পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা। এ ছাড়া ১ হাজার ৭০০ মেডিকেল যন্ত্রপাতি সংগ্রহ, প্রয়োজনীয় আসবাব সংগ্রহ, ৪টি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১১টি যানবাহন, ৯টি লিফট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য আলাদা ২০০ কেভিএ সাবস্টেশন ও ৪০০ কেবি জেনারেটর, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নিরাপত্তায় পর্যাপ্তসংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

একনেকের অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গণপূর্ত অধিদফতর। ২০২১ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীত হবে। সরকারি কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবার চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি এ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হবে। এসব বিষয় বিবেচনা করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালটিতে বর্তমানে ২৯টি কেবিনসহ ১৫০টি বেড, ৬ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক আইসিইউ, ৭টি অপারেশন থিয়েটার, ২টি পোস্ট-অপারেটিভ ওয়ার্ড ও  ২টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এর বহির্বিভাগে বছরে প্রায় আড়াই লাখ ও আন্তঃবিভাগে প্রায় ৪ হাজার রোগী সেবা নিয়ে থাকেন। সেবার পরিধি আরো বাড়াতে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার। সরকার এ অধিকার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য নতুন নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি বিদ্যমান হাসপাতালগুলো ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক মানুষকে চিকিৎসাসেবার আওতায় আনতে কাজ করছে।

এতে আরো বলা হয়, ঢাকার সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বিরাট অংশ দৈনন্দিন চিকিৎসাসেবার জন্য সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। বর্তমান কলেবর এ বিপুলসংখ্যক সরকারি চাকরিজীবীর জন্য অপ্রতুল। বিদ্যমান হাসপাতাল ভবনকে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে এতে অধিক রোগী ভর্তির ক্ষেত্র তৈরি করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads