• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

সরকার

জনপ্রতিনিধিদের জনগণের আস্থা অর্জনের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৯

জনপ্রতিনিধিদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে, আপনারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জনগণ যে বিশ্বাস এবং আস্থা নিয়ে নির্বাচিত করেছে তাদের সে বিশ্বাস ও আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।’

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইকরামুল হক টিটু ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজনীতি করলে সেটা টেকসই হয় না এবং দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনে না।

‘আপনারা যদি জনগণের জন্য কাজ করেন, জনগণের স্বার্থে কাজ করেন তাহলে তাদের হৃদয় জয় করতে পারবেন এবং তারা আপনাদের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখবে এবং তাদের সেবা করার জন্য বার বার সুযোগ করে দেবে,’ বলেন তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আবারও জনগণের সেবা করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদেরও দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে এদেশকে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার।’

সরকার ইতিমধ্যে ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে তা উদযাপন করা হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সরকার ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রস্তুত এবং তা বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ড সরকারের সাথে চুক্তি করেছে।

সরকার দেশব্যাপী ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে এবং ইতিমধ্যে ৮০টি অঞ্চলের জন্য জায়গা নির্বাচিত করেছে, জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ফসলি জমি নষ্ট করে যত্রতত্র শিল্পকারখানা স্থাপন বন্ধ করা।

এসব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশ শিল্পায়নের পথে আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যদি উন্নয়ন বাজেটের ৯০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যবস্থা করতে পারে তাহলে অন্য কারও কাছে হাত পাততে হবে না।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্যশস্যের জন্য হাত পাতব না, আমরা নিজেরাই আমাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করব, নিজেদের সম্মান নিয়ে বাঁচব...এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। আমরা তা বাস্তবায়ন করব।

উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় সে জন্য নিজ নিজ এলাকায় এসবের দেখভাল করতে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ‘এলাকার জনগণ যাতে উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো নিয়ে খুশি হয় তা আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে।’

সেই সাথে তিনি পরিবার, সমাজ ও দেশ ধ্বংসকারী সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও মাদক সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিদের তাগিদ দেন।

প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads