• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারি সংলাপ আজ

ছবি : সংগৃহীত

সরকার

ঢাকা-ওয়াশিংটন অংশীদারি সংলাপ আজ

প্রাধান্য পাবে বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৯

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সপ্তম অংশীদারি সংলাপ আজ সোমবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে। সংলাপে ব্যবসা-বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয় প্রাধান্য পাবে।

সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যাল যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন।

ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগমুহূর্তে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যবসা, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে সংলাপে আলোচনা হবে।’

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক ইস্যুতে ঢাকা চায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে সখ্য বাড়াতে।’

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারীরা এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার বলেও তিনি জানান। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছি এবং এর একটি শুধু মার্কিন বিনিয়োগকারীদের দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’

নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা : যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল রূপকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর আওতায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে চায় ঢাকা।

সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির ইচ্ছা প্রকাশ করে সম্প্র্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম মৌলিক বিষয় হচ্ছে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা এবং বিষয়টি বিভিন্ন স্তরের বৈঠকে নিয়মিত আলোচনা হয়ে থাকে।’ তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তির প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাকুজিশন অ্যান্ড ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট এবং জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। উভয় দেশ চুক্তি দুটি নিয়ে আলোচনা করছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের জুনে পম্পেও বাংলাদেশের জন্য চার কোটি ডলারের মেরিটাইম সিকিউরিটি ফান্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করে এবং এটি ব্যবহারের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

আঞ্চলিক বিষয় : রোহিঙ্গা ইস্যু, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, উত্তর কোরিয়া, ইরানসহ অন্যান্য বিষয়েও সংলাপে দুই পক্ষ আলোচনা করবে।

সরকারের আরেকজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই সমস্যা সমাধানে ঢাকা ও ওয়াশিংটন একমত এবং রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অর্থ সাহায্য দিয়েছে।’

সন্ত্রাসবাদ সব দেশের সমস্যা এবং দুই দেশ এটি প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

ইরান ও উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অবস্থান আছে এবং ওই দেশটি চায় অন্যান্য সরকার তাদের সমর্থন করুক এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাব্য উত্তর হবে তার পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’।

উল্লেখ্য, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র সচিবকে এম শহীদুল হককে ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হ্যালসহ অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তাসহ থিংক ট্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads