• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
প্রধানমন্ত্রীকে বেইজিংয়ে লালগালিচা সংবর্ধনা

সংগৃহীত ছবি

সরকার

প্রধানমন্ত্রীকে বেইজিংয়ে লালগালিচা সংবর্ধনা

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৩ জুলাই ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিয়াওনিং প্রদেশের দালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অ্যানুয়াল মিটিংয়ের উদ্বোধনী পর্বে যোগদান শেষে আজ বুধবার সকালে চীনের রাজধানী বেইজিং পৌঁছেছেন।

সকাল ১০টা ৫ মিনিটে (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীবাহী বিমানটি বেইজিংয়ের উদ্দেশে দালিয়ান ঝৌশুজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। দালিয়ান সিটির ভাইস মেয়র জিয়াও শেংফেং প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।

চীন সরকারের একটি ভাড়া করা বিমানে করে প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীরা স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।

বেইজিং বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং ছোট একটি শিশু ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়।

এ সময় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে দিয়ায়োতাই স্টেট গেস্ট হাউজে নেয়া হয়। চীনের রাজধানীতে সফরকালে শেখ হাসিনা এখানেই অবস্থান করবেন।

দালিয়ানে ২ জুলাই ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউইএফ’র প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াবের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ‘কো-অপারেশন ইন দ্যা প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ভিত্তিক চীনের কেন্দ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলের অংশ এবং চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক গ্রুপের আন্তর্জাতিক ইংরেজী ভাষার চ্যানেল সিজিটিএনকে সাক্ষাৎকার প্রদান করবেন। সেইসঙ্গে লেজেনডেল হোটেল ওয়াংফুজিং’তে প্রবাসী বাংলাদেশীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করবেন।

বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা আগামী ৪ জুলাই চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং এবং ৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।

৪ জুলাই সকালে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ বীরদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

পরে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এখানে ঢাকার সঙ্গে বেইজিংয়ের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতামূলক একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত এক ভোজসভাতেও যোগ দেবেন।

একই দিন বিকেলে তিনি সিসিপিআইটিতে চীনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একটি বিজনেস রাউন্ডটেবিলে অংশ নেবেন।

৫ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রীর চাইনিজ থিংক ট্যাংক ‘পাঙ্গোয়াল ইনস্টিটিউশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।

চীনের বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা শেখ হাসিনার সঙ্গে গেস্ট হাউসে দেখা করার কথা রয়েছে এবং এনপিসি’র চেয়ারম্যান লি ঝাংশুর সাথে প্রধানমন্ত্রীর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দিয়ায়োতাই রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায় এক বৈঠকে মিলিত হবেন।

বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী একই স্থানে চীনা প্রেসিডেন্টের আয়োজিত একটি ভোজ সভায় যোগ দেবেন।

চীন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় ৬ জুলাই সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন এবং একই দিন বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ) পৌঁছবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত শুক্রবার বলেন, আগামী ২ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর ৫ দিনের সরকারি চীন সফরে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আলোচনায় সর্বাধিক প্রাধান্য পাবে এবং এ সময় ঢাকা এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে রোহিঙ্গা সমস্যাটি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে। আমরা বিশ্বাস করি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে (রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে) বেইজিং কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads