• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সড়ক ব্যবহারে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংগৃহীত ছবি

সরকার

সড়ক ব্যবহারে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০১৯

চালক,যাত্রী ও পথচারীদের সড়ক ও মহাসড়ক ব্যবহারে ও পারাপারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভুমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জনগন সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন নয়, তাদেরকে সচেতন হতে হবে।’

এ সময় ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কের ১.২ কিলোমিটার ভূলতা উড়াল সেতু, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস, ভেমড়া স্থলবন্দর-সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক, মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের ১৩টি সেতু ও ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টক মহাসড়কের ২৮৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গোয়াদার সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। ‘সকলকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। যারা সড়ক ব্যবহার করছে তাদের সতর্ক থাকা অত্যান্ত জরুরি হয়ে পড়েছ। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে অনেক পরিবার সমস্যার মধ্যে পড়ছে যা কখনোই প্রত্যাশাতি নয়।’

‘সড়ক দুর্ঘটনায় শুধুমাত্র চালকেদের দোষারোপ ঠিক নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী চালক ও যাত্রীসহ সকলকে যানবাহন চালানো ও সড়ক পারাপারের সময় সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকার সড়ক নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আইন বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রত্যেককে ট্রাফিক আইন ও নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

ট্রাফিক আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল পর্যায় থেকে ট্রাফিক আইন ও নিয়মকানুন সম্পর্কে সচেতন করার প্রদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, প্রত্যেককে বিভিন্ন সড়কে পরিবহনের ধারণক্ষমতা সম্পর্কে জানতে হবে। সর্বোচ্চ পরিবহনের পরিমাণ সম্পর্কে সর্তক থাকতে হবে। অনেকেই এ নিয়ম মানতে চায় না।’

পরিবহন ব্যবস্থাকে কোনো একটি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে চলেছে যাতে জনগণ সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যোগাযোগ করতে পারে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির মহপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাতে রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে ইউনিয়ন এবং ইউনিয়ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে সহজে যাতায়াত করা যায়।

এসময় শেখ হাসিনা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সেতু থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ওপরও গুরুত্ত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্বাগত বক্তব্য দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ইমাম, শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।  

প্রসঙ্গত, ভূলতা উড়াল সেতুর ১.৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে ১.২ কিলোমিটার পড়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আর ৬১১ মিটার ঢাকা বাইপাস মহাসড়কে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩৩৮.৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

সেই সাথে, ৮৭.৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস সড়ক, ৩৮.৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টক মহাসড়কের ২৮৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গোয়াদার সেতু এবং ৮৮.৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগের ১৩টি কংক্রিটের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads