• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯

সরকার

‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ কেউ কুক্ষিগত করতে পারবে না’

বাংলাদেশের খবর সম্পাদকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ কুক্ষিগত করা এদেশের কারো পক্ষে সম্ভব নয়। কেউ তা পারেনি। আমাদের সমাজব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী। সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে গেলে সমাজ থেকেই প্রতিবাদ আসবে। জমিদারি প্রথা আমাদের দেশে নেই। যখন একটা দেশে উন্নতি হয়, তখন সেখানে স্বাভাবিকভাবে কিছু লোক একটু বেশি ধনাঢ্য হয়ে পড়ে। এটা নিয়ে চিন্তা ও ঘাবড়ানোর কিছু নেই। আমরা সব পরিকল্পনা, নীতিমালা ও প্রকল্প করেছি, গ্রামের সাধারণ মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কথা মাথায় রেখে। যার সুফল আমরা পাচ্ছি।’

দেশের জাতীয় সম্পদ গুটিকয়েক পরিবার যেন কুক্ষিগত করতে না পারে, দেশে সামাজিক অস্থিরতা, অরাজকতা ও সম্পদের বৈষম্যের যেন সৃষ্টি না হয়, সেই লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান বাংলাদেশের খবর সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে দৈনিক বাংলাদেশের খবর সম্পাদক এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সদ্য সমাপ্ত আজারবাইজানের বাকুতে ২৫ থেকে ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ১৮তম জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে (ন্যাম) অংশ নিয়ে গত রোববার দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। সফরের বিস্তারিত জানাতে গতকাল গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সরকারপ্রধান। শুরুতেই তিনি এবারের ন্যাম সম্মেলনে তার অভিজ্ঞতার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা নিতে পেরেছি বলেই দেশে দারিদ্র্য কমে গেছে। দেশের মানুষ সুফল পাচ্ছে। অনেক দেশে প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মূল্যস্ফীতিও বাড়ে। আমাদের দেশে তা হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আমরা পাঁচের ঘরে রাখতে পেরেছি। সাধারণ মানুষের হাত ধরে বা গ্রাম থেকে আমাদের উন্নয়ন শুরু। গ্রামের মানুষের কাছে উন্নয়ন গেলে সেখানে বৈষম্য খুব বেশি দাঁড়াতে পারে না। সরকারের পরিকল্পনার জন্যই সাধারণ মানুষও উন্নতি ও অর্থনীতির সুফল পাচ্ছে।’

আইসিসি সাকিবকে শাস্তি দিলে বেশি কিছু করার নেই : সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রথমেই আসে সাকিব আল হাসান প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) সব সময় সাকিবের সঙ্গে আছে এবং তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সঙ্গে জুয়াড়িরা যোগাযোগ করে। ওর যেটা ভুল হয়েছে, যখন যোগাযোগ করা হয়েছে, তখন বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। সে কথাটি আইসিসিকে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) জানায়নি। নিয়মটা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে জানানো উচিত ছিল। সে এটাই ভুল করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আইসিসি যদি অবস্থান নেয়, সেক্ষেত্রে আমাদের তো খুব বেশি কিছু করণীয় থাকে না। আমাদের দেশের ক্রিকেটার ও খেলোয়াড় হিসেবে তার একটি অবস্থান আছে। সে ভুল করেছে, এটা ঠিক। সে সেটা বুঝতেও পেরেছে। আর বিসিবি বলেছে, তার পাশে তারা থাকবে। এর চেয়ে খুব বেশি যে করণীয় কিছু আছে, তা কিন্তু না।’

ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের যদি দাবি-দাওয়া থাকত, তাহলে পূর্বেই জানাতে পারত। বিসিবিকে জানাতে পারত। কিন্তু সেটা করেনি। কথা নেই বার্তা নেই, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘট করতে হলে তো আগে দাবি-দাওয়া উত্থাপন করে, একটা সময় দেয়, নোটিশ দেয়, তারপর করে। পরে আলোচনা হয়েছে, তারা গেছে, এবং সে সমস্যা মিটমাট করা হয়েছে। এ সমস্যা আর নেই। আমরা বা বিসিবি খেলোয়াড়দের যেভাবে সমর্থন দিই, পৃথিবীর খুব কম দেশ তা করে।’

ক্রিকেটারদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার প্রসঙ্গ টেনে এক সাংবাদিক বলেন, ‘বোর্ডে একজন ক্যাসিনোবাজ ঢুকে পড়েছেন, এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। বোর্ড প্রপারলি ফাংশন করছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।’ 

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আন্দোলনের সঙ্গে ক্যাসিনো টেনে আনা ঠিক হচ্ছে না। ক্যাসিনো খেলার সঙ্গে কে কী জড়িত, এটা তো বিসিবির বিষয় না। হয়তো এখানে একজন ছিল। সে রকম তো আপনাদের সাংবাদিক মহলেও যদি খোঁজ করা যায়, অনেককে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। ভবিষ্যতে যদি খুঁজে পাওয়া যায় তো কী করব আমি? সেটাও তো আপনাদের ভাবতে হবে। ক্যাসিনো-কাণ্ডের সেই পরিচালক ধরা পড়েছে। সে বহাল তবিয়তে আছে, তাও নয়।’

ক্যাসিনোর খবর কেউ দিল না কেন : বাংলাদেশে এক হাজারের বেশি সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে, ৩২টির বেশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে, বাংলাদেশে এভাবে ক্যাসিনো বসিয়ে জুয়ার আসর চলার খবর কেন কেউ আগে প্রকাশ করল না-সেই প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘আপনারা এত খবর রাখেন, তো এই রকম আধুনিক আধুনিক সব যন্ত্রপাতি এসে গেছে, এত কিছু হলো, আপনারা কেউ খবর রাখলেন না? কেউ খবর পেলেন না? কোনোদিন কেউ তো নিউজ করলেন না। কীভাবে হয়?’

এ সময় সাংবাদিকরা কিছু বলার চেষ্টা করলে তাদের থামিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নো, নো, কোথাও আমি নিউজ পাইনি, এটা বলে লাভ নাই। ক্যাসিনো সম্পর্কে কেউ কোনো নিউজ দেননি। এটা ধরার দায়িত্ব আমি নিয়েছিলাম। আমি খুঁজে পেয়েছিলাম, আমিই করিয়েছি, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার কাছে যে কোনোভাবে হোক খবর যখন এসেছে, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, যাকে দিয়ে করলে যথাযথভাবে হবে, তাকে দিয়ে করিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘কোনো একটা চ্যানেল থেকে কোনোদিন এই নিউজটা কেন দিতে পারলেন না, এই জবাবটা কী জাতির কাছে দিতে পারবেন? পারবেন না। তাহলে আপনারা কাকে দোষ দেবেন? ধরব আমরা, আর এ ব্যাপারে আমাদেরই প্রশ্ন করবেন, এটা তো হয় না। এখন আরেকটু সাহায্য করেন, খুঁজে বের করেন কোথায় কী পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমার তো প্রশ্ন, এ রকম একটা ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে যাচ্ছে। অথচ কেউ জানে না, সবাই নীরব! হোয়াই? কী কারণে? কারণটা কী?... সেজন্য বললাম, কখন কে কোথায় কী কারণে ধরা পড়ে এটা তো বলা যায় না।’

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় দেশের অবদান ন্যামে তুলে ধরা হয়েছে : সামগ্রিক উন্নয়ন ও এসডিজি বাস্তবায়নে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ জনগণের বহুপাক্ষিক ফোরাম ন্যামের ভূমিকা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এতে অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থানকে জোরদার করেছে। ন্যামের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অবদান, পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে আমাদের অঙ্গীকার, ফিলিস্তিনি জনগণসহ বিশ্বব্যাপী শোষিত মানুষের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ন্যামের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একযোগে কাজ করার বিষয়গুলো বিশ্ববাসীকে অবহিত করা সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের পাশাপাশি ন্যামের একটি গুরুত্বত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৩ সালে ন্যামের সদস্যপদ লাভের পর সে বছরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করে। জাতির পিতার প্রদত্ত নিরপেক্ষতার নীতির অনুসারী হিসেবে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবে ন্যামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৮তম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমসাময়িক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সাফল্যসহ দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসাসেবা, নারী উন্নয়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের অর্জনগুলো সবার সামনে তুলে ধরি। বিশেষ করে বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিষয়টি উল্লেখপূর্বক আমি সন্ত্রাসবাদ, উগ্রপন্থা, মাদক পাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকারের দৃঢ় অবস্থান তুলে করি।’ রোহিঙ্গাদের শান্তি, নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাওয়াই যে রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান তা তিনি ন্যাম রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের সামনেও তুলে ধরেন।

খালেদা, তারেক শাস্তি পেয়েছেন, খুচরারাও পাবে : প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মূল দুর্নীতিবাজদের দুজন তো শাস্তি পেয়েই গেছেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান। তাদের আরো কিছু খুচরা নেতা আছে। দুর্নীতি, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন-বহু অপরাধে অপরাধী এই নেতাদেরও সাজা পেতে হবে।’ ‘বিএনপি দুর্নীতিবিরোধী অভিযানকে বলছে আইওয়াশ’-এ বিষয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইওয়াশ করতে যাব কেন? আমি তো আমার আপন-পর কিছু দেখিনি। যারাই অপরাধ জগতের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদেরই ধরা হচ্ছে। তাহলে আইওয়াশ বলে কী করে? আইওয়াশের ব্যবসা বিএনপিই ভালো জানে-বোঝে। দেশটাকে দুর্নীতিতে নিয়ে এসেছে তো বিএনপি। দুর্নীতিকে নীতিতে নিয়ে এসেছে তারা। চলমান শুদ্ধি অভিযান আইওয়াশ নাকি অন্য কিছু, অপেক্ষা করুন দেখতে পাবেন।’

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে কীভাবে মানি লন্ডারিং কালচার, ঋণখেলাপি, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি শুরু করেন, সেসব বিষয়ও তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এরপর এরশাদ ক্ষমতায় এলেন। তিনি আরেক ধাপ ওপরে। আর খালেদা জিয়া তো দোকানই খুলে বসলেন। একদিকে হাওয়া ভবন, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।’

প্রশ্ন তুললে তার জয়ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতির ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি’ বলে মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললে ১৪ দলীয় জোটের ওই নেতাও বিতর্কিত হয়ে পড়েন। তবে তার বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের জোটের নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, তার মনে তো কষ্ট থাকতেই পারে। এ বিষয়ে জোটের মুখপাত্র নাসিম সাহেব আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। জানতে চেয়েছেন, আমার বক্তব্য আছে কি না। আমি বলেছি, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এসব বিষয় নিয়েই যদি পড়ে থাকি তাহলে দেশের উন্নয়নে কাজ করবো কখন? এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ দল বসেছে, তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’

কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে : প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এ সময় অবশ্য তিনি রসিকতা করে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, পেঁয়াজ না খেলে কী হয়?’

বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির তথ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দুই-চার দিনের মধ্যে দাম কমে যাবে। বাজার সহনীয় করতে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আরো ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। যারা পেঁয়াজ রেখে দিয়েছে, কেন রেখে দিয়েছে, কে জানে! পেঁয়াজ কিন্তু পচে যায়।’

সৌরভের আমন্ত্রণ বলেই কলকাতা যাবেন প্রধানমন্ত্রী : বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফরে কলকাতায় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এ টেস্ট দেখার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাওয়াত নয়। বাঙালি ছেলে সৌরভের দাওয়াত। সৌরভের দাওয়াত বলেই আমি সেখানে যাব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকব। বিকালে চলে আসব।’

বিসিসিআইয়ের প্রধান হওয়ার পর সৌরভের ফোন পান বলেও গতকাল নিজেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌরভ বাঙালি ছেলে। সে একসময় ক্রিকেটে খুব নাম করেছিল। এই প্রথম একজন বাঙালি হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রধান হলো। এরপর সে আমাকে ফোন করেছিল। আমাকে দাওয়াত দিল। বলল, আমি যেন ওখানে যাই এবং খেলার শুরুতে অন্তত থাকি। আমি রাজি হয়ে গেলাম।’ কলকাতা টেস্ট উপলক্ষে তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোনো ‘ক্রিকেট কূটনীতি’ থাকবে কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে কিছুটা রসিকতা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রিকেটকে নদীর মধ্যে নিয়ে যাচ্ছেন কেন?’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads