• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সরকারের প্রস্তুতিতে বুলবুলে ক্ষতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর নির্ঘুম রাত : তথ্যমন্ত্রী

ছবি: পিআইডি

সরকার

সরকারের প্রস্তুতিতে বুলবুলে ক্ষতি হয়নি, প্রধানমন্ত্রীর নির্ঘুম রাত : তথ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ নভেম্বর ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলা পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন, জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বারবার নির্দেশনা দিয়েছেন, নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আর বিএনপি সরকারের প্রস্তুতিকে যে অপর্যাপ্ত বলছে, তাদের নেত্রীর প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, তাদের সময় ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর যখন মানুষের লাশ পানিতে ভাসছে, সমস্ত চট্টগ্রামে লাশের গন্ধ, তখন নওয়াজ শরিফ আসায় বেগম খালেদা জিয়া দিনে সাতটি শাড়ি বদল করেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কার্যালয়ে শহিদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে শহিদ নূর হোসেন সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।

হাছান বলেন, ‘বিএনপি বলেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতিতি নাকি যথেষ্ট নয়। অথচ ব্যাপক ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ফলে প্রাণ ও সম্পদ উভয়ই ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। “আমি তাদের বলবো, নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখতে। কারণ, তাদের সময়ে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে পাঁচ লাখ প্রাণহানি ও ব্যাপক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিমানঘাঁটির অনেকগুলো বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শুধু অবহেলায়, কারণ বিমান তো উড়িয়েই ঢাকা আনা যেতো। নিরাপদ জায়গায় নোঙর না করায় জাহাজও উঠে এসেছিলো রাস্তায়।”

মন্ত্রী এ সময় এদেশের মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধু কন্যার গভীর মমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার রক্তধমনীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, তিনি বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে এসে দেশ ও মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, মেহনতী মানুষের জীবনের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। সেকারণেই শেখ হাসিনার অপর নাম গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর দেশ ও জাতির উন্নয়ন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নূর হোসেনের রক্ত বৃথা যায়নি। নূর হোসেন-সহ সকল শহিদের রক্তে আমাদের গণতন্ত্র আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। নব্বইয়ের ১০ নভেম্বর সেদিন শুধু নূর হোসেনই নয়, টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনাও।’

উল্লেখ্য, এ সময় ড. হাছান মাহমুদ সবাইকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর শুভেচ্ছা জানান।

শহিদ নূর হোসেন দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি তছলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে নূরুল আমিন রুহুল এমপি, প্রধান বক্তা হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বক্তা হিসেবে শহিদ নূর হোসেনের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন প্রমুখ সভায় নূর হোসেনের স্মৃতিচারণ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads