• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

আন্তর্জাতিক

রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ক্ষমা!

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০১৮

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন তার দুই সন্তান রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল বলেন, আমরা বাবার হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিয়েছি। কোনো ধরনের হিংসা চাই না। শনিবার সিঙ্গাপুরে আইআইএমের অ্যালামনাইয়ে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন বলে জিনিউজ জানিয়েছে।

কংগ্রেসপ্রধান রাহুল গান্ধী বলেন, আমরা জানতাম আমাদের দাদি কারো হাতে নিহত হতে পারেন। বাবাকেও হত্যা করা হতে পারে, এটাও জানতাম। রাজনীতিতে অন্যায় শক্তির সঙ্গে লড়াই করলে আপনাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে, এটা স্পষ্ট। অনেক বছর ধরে আমরা কষ্ট পেয়েছি। এগুলো নিয়ে আমরা খুবই ক্ষুব্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন আমি ও প্রিয়াঙ্কা তাদের পুরোপুরি ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি কোনো রকম হিংসা পছন্দ করি না।

১৯৮৪ সালে দেহরক্ষীদের হাতেই নিহত হন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। রাহুল গান্ধী বলেন, দাদি নিহতের সময় আমার বয়স ছিল ১৪। তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের সঙ্গে আমি প্রায়ই ব্যাডমিন্টন খেলতাম। এরপর বাবাকেও হত্যা করা হলো। তখন রাহুলের বয়স ২১ আর প্রিয়াঙ্কার ১৯।

রাহুল বলেন, হিংসা পছন্দ করি না বলেই বাবার হত্যার নির্দেশদাতা এলটিটিইপ্রধান প্রভাকরণের মৃত্যুতেও কষ্ট পেয়েছিলাম। তার মৃত্যুর ছবি দেখে সঙ্গে সঙ্গেই মনে হচ্ছিল, নির্যাতন করে লোকটাকে হত্যা করা হয়েছে। তার সন্তানদের কথা ভেবে খারাপ লাগছিল।

১৯৯০ সালের মাঝামাঝি শ্রীলঙ্কায় তামিল স্বাধীনতাকামী সংগঠন এলটিটিইর সশস্ত্র বিদ্রোহ জোরালো হয়। দলীয় প্রধান ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ তখন জঙ্গলে সরকারবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এমনই এক সময় ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে পরাজিত কংগ্রেসপ্রধান রাজীব সাক্ষাৎকারে অঙ্গীকার করেন, পুনর্র্নির্বাচিত হলে তিনি আবারো ভারতীয় শান্তিরক্ষী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার তামিল বিদ্রোহীদের দমন করার চেষ্টা করবেন। ৮৪ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত সরকারে থাকাকালেও তিনি ভারতীয় বাহিনী পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার এলটিটিই বিদ্রোহীদের দমনের চেষ্টা করেছিলেন। বলা হয়, রাজীবের আবারো সেনা পাঠিয়ে বিদ্রোহ দমন ঠেকাতেই তাকে হত্যার নির্দেশ দেন এলটিটিইপ্রধান প্রভাকরণ। ১৯৯১ সালের ২১ মে দক্ষিণ ভারতে এক নারী এলটিটিই কর্মীর আÍঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন রাজীব। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় তার ওপর এই আÍঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়।

তবে কি দাদি ও বাবার হত্যার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজে সতর্ক থাকেন রাহুল? সরাসরি কিছু না বললেও কংগ্রেস সভাপতির বক্তব্য, রাজনীতিতে প্রায়ই অদৃশ্য শক্তির মুখোমুখি হতে হয়। কখন যে আঘাত আসবে, তা বোঝাই যায় না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads