• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জীবন ধারা

ওজন বাড়াতে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আধুনিক জীবনে বড় একটি সমস্যা স্থূলতা। ডায়াবেটিসের মতো স্থূলতা বহু রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষরা ওজন কমানোর দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু এ কাজটি করা দুষ্কর। তবে এমন অনেক মানুষই আছেন যাদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়েও কম। ওজন আসলে ভারসাম্যপূর্ণ থাকা দরকার। কমও নয়, বেশিও নয়। জানলে অবাক হবেন, ওজন বাড়ানোও কিন্তু কঠিন কাজ। যারা সুস্বাস্থ্যের জন্যে ওজন বাড়াতে চাইছেন, তারা বুঝতে পারছেন কতটা দুরূহ কাজ করে যাচ্ছেন।

 

আসলে পাতলা দেহের অধিকারীদের পাকস্থলী ছোট আকারের হয়। তাদের পক্ষে ক্ষুধা বাড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আবার ক্ষুধা থাকলেও যথেষ্ট খাবার খেয়েও তারা স্বাস্থ্য বাড়াতে পারেন না। বরং অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমা পড়তে থাকে দেহে। এ অবস্থা আরো বেশি মারাত্মক। সাধারণত এ ফ্যাট কেবল পেটেই জমে। ভুঁড়ি বাড়ে, সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্য বাড়ে না।

 

এখানে জেনে নিন স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়ানোর কিছু কার্যকর উপায়ের কথা। এগুলো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং গবেষণার ফল।

 

১. ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হতে পান নানা কারণে। আসলে বুঝতে হবে আপনার দেহের মতিগতি। কেন আপনি চিকন, সে সমস্যা আগে চিহ্নিত করতে পারলে ভালো। যে ওজন থাকা দরকার তা কেন হচ্ছে না, তাও আগেভাগে জেনে নিতে হবে। এ কাজটি করতে পুষ্টিবিদের সঙ্গে কথা বলুন। মূল সমস্যা শনাক্ত করা জরুরি।

 

২. যারা চিকন তাদের ক্ষেত্রে ভাবা হয়, এই দেহে কোনো খাবারই কোনো কাজে লাগে না। তাই যা পাওয়া যায় তাই বেশি বেশি খেতে হবে। এ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধির দিকে যেতে হবে। এতে করে প্রক্রিয়াটা স্বাস্থ্যকর হবে এবং তা থেকে যাবে। সাধারণ হিসেবটা হলো, প্রতিদিন ৫০০ কিলোক্যালরি খাবার খেলে সপ্তাহে ওজন আধা কেজি বাড়বে। অবশ্য তা নির্ভর করে আপনার দেহ খাবারের সঙ্গে কেমন আচরণ করলো তার ওপর।

 

৩. ওজন বাড়াতে কিন্তু ব্যায়ামও করতে হবে। যদি ভাবেন কেবল খাবার এ কাজটি করবে তবে ভুল করছেন। ব্যায়ামের মাধ্যমে দেহের পেশিগঠন প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে। নিজেও বুঝতে পারবেন দেহের কোন পেশিগুলো দুর্বল। পরে সেই পেশির ব্যায়াম করতে হবে। সুগঠিত পেশি স্বাস্থ্যকর দেহ গড়ে তোলে।

 

৪. ওজন তুলতে হবে। রোগা দেহ ধীরে ধীরে সুগঠিত হতে থাকবে। আপনার দেহ যে পরিমাণ ভার বইতে সক্ষম, তার চেয়ে বেশি ওজন বহন করতে পারবে। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। আর এ কাজে ওজন তোলা সবচেয়ে কার্যকর ব্যায়াম। ওজন বৃদ্ধির জন্যে আপনার স্কোয়াট, ডেডলিফট, প্রেস, পুল-আপ, রো, ডিপ, স্ন্যাচ, ক্লিন এবং জার্ক দিতে হবে।

 

৫. স্বাস্থ্যকর খাবার তো লাগবেই। অনেকে দোকান থেকে ফুড সাপ্লিমেন্ট কিনে থাকেন। এগুলো স্বাস্থ্য বৃদ্ধির কথা দেয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এর অনেকগুলোই সিনথেটিক পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে আপাতত স্বাস্থ্য বাড়বে, স্থায়ীভাবে নয়। তাই পুষ্টিকর প্রাকৃতিক খাবারই বেছে নিতে হবে। প্রতিটা খাদ্য উপাদান পরিমাণমতো খেতে হবে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আপনাকে সহায়তা করতে পারেন।

 

৬. স্বাস্থ্যকর হৃৎপিণ্ড গঠন ও ওজন বৃদ্ধির খাবার খেতে হবে। অনেকেই ওজন বাড়ানোর জন্যে যেকোনো খাবার বেশি বেশি খেয়ে ভুলটা করে থাকেন। এতে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমন খাবার খাওয়া যাবে না যা ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স যোগ করতে হবে। অর্থাৎ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনো ফল ইত্যাদি খাওয়া ভালো। সবজি ও মাংস খেতে হবে পরিমাণমতো। তবে একটু বেশি প্রোটিন খেতে হবে। তাও স্বাস্থ্যকর প্রোটিন।

 

৭. কখনোই বলা হয় না যে, খাবার বেশি খাবেন। বেশি খেলে যে ওজন বাড়বে তা নয়। বরং পরিমাণমতো খেতে বলেন সবাই। জাঙ্কফুড পুরোপুরি ত্যাগ করতে হবে। খাবার খাওয়ার আগে বুঝহতে হবে কোন খাবারে কোন উপাদানটি রয়েছে। অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ করা যাবে না। আবার সব স্বাস্থ্যকর খাবারও বেশি বেশি খাওয়া উচিত নয়। বুঝেশুনে খাবেন, ধীরে ধীরে স্বাস্থ্যকর ওজন ফিরে পাবেন।

 

 

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads